০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌক্তিক সময় যেন সীমাহীন না হয় : ড. মঈন খান

রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘যৌক্তিক’ সময় দেওয়ার কথা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকার যে সংস্কার করতে চায়, তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ধৈর্য ধারণ করে যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিত। তবে সরকারকেও ভাবতে হবে এই সময় যেন সীমাহীন না হয়। তা না হলে ছাত্র-জনতা আবারও মাঠে নামতে হতে পারে।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘জনগণের প্রত্যাশা : অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মঈন খান এ কথা বলেন।

আবদুল মঈন খান বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের মধ্যে নতুন চেতনা জেগেছে। ফলে বিভিন্ন সংস্কারের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের সংস্কার করা দরকার। একবার-দুইবার নয়। শেখ হাসিনার মতো একজন দুইবার থাকলেই দেশের ১২টা বেজে যাবে। বর্তমানে রাজনীতিবিদদের ওপর ছাত্র-জনতার আস্থা নেই। আস্থা ফেরাতে রাজনীতিবিদদেরই কাজ করতে হবে। আত্মসমালোচনার পাশাপাশি নিজেদের আচরণে সংস্কার আনতে হবে।

মঈন খান বলেন, ভিন্নমত না থাকলে গণতন্ত্র আসে না। গত ১৬ বছর আমরা এই ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারিনি বলেই, দেশে দুর্যোগ নেমে এসেছিল। পরিশেষে স্বৈরাচার সরকারের পলায়নের মাধ্যমে আমরা ফের মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি, এটা কাজে লাগাতে হবে। যারাই দেশ শাসন করেন, ভিন্নমতের গুরুত্ব স্বীকার করে নিলে, রাষ্ট্র পরিচালনায় কোনো সমস্যা হয় না। তবে আজকের পরিস্থিতিতে রয়েছি, সেখানে সরকারের আইনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাভ নেই। কারণ, এ সরকার ব্যর্থ হলেই দেশে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।

দেশের রাজনৈতিক পরীক্ষায় রাজনীতিবিদদের উত্তীর্ণ হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে মঈন খান বলেন, আমি নিজেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারিনি। দেশের সাংবিধানিক সংস্কারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। দেশের কোটি কোটি বঞ্চিত মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সভায় রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার ও আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সরকার ও রাজনৈতক দলগুলোর করণীয় কী? এ বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত নেওয়া হয়। পরে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির তানিয়া রব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, জয়যাত্রার প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপিরসহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মুন্নী প্রমুখ। সভা সঞ্চলানা করেন দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকার।

সরকারের মূল অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক

যৌক্তিক সময় যেন সীমাহীন না হয় : ড. মঈন খান

আপডেট : ১০:৫৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘যৌক্তিক’ সময় দেওয়ার কথা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকার যে সংস্কার করতে চায়, তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ধৈর্য ধারণ করে যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিত। তবে সরকারকেও ভাবতে হবে এই সময় যেন সীমাহীন না হয়। তা না হলে ছাত্র-জনতা আবারও মাঠে নামতে হতে পারে।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘জনগণের প্রত্যাশা : অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মঈন খান এ কথা বলেন।

আবদুল মঈন খান বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের মধ্যে নতুন চেতনা জেগেছে। ফলে বিভিন্ন সংস্কারের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের সংস্কার করা দরকার। একবার-দুইবার নয়। শেখ হাসিনার মতো একজন দুইবার থাকলেই দেশের ১২টা বেজে যাবে। বর্তমানে রাজনীতিবিদদের ওপর ছাত্র-জনতার আস্থা নেই। আস্থা ফেরাতে রাজনীতিবিদদেরই কাজ করতে হবে। আত্মসমালোচনার পাশাপাশি নিজেদের আচরণে সংস্কার আনতে হবে।

মঈন খান বলেন, ভিন্নমত না থাকলে গণতন্ত্র আসে না। গত ১৬ বছর আমরা এই ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারিনি বলেই, দেশে দুর্যোগ নেমে এসেছিল। পরিশেষে স্বৈরাচার সরকারের পলায়নের মাধ্যমে আমরা ফের মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি, এটা কাজে লাগাতে হবে। যারাই দেশ শাসন করেন, ভিন্নমতের গুরুত্ব স্বীকার করে নিলে, রাষ্ট্র পরিচালনায় কোনো সমস্যা হয় না। তবে আজকের পরিস্থিতিতে রয়েছি, সেখানে সরকারের আইনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাভ নেই। কারণ, এ সরকার ব্যর্থ হলেই দেশে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।

দেশের রাজনৈতিক পরীক্ষায় রাজনীতিবিদদের উত্তীর্ণ হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে মঈন খান বলেন, আমি নিজেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারিনি। দেশের সাংবিধানিক সংস্কারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। দেশের কোটি কোটি বঞ্চিত মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সভায় রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার ও আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সরকার ও রাজনৈতক দলগুলোর করণীয় কী? এ বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত নেওয়া হয়। পরে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির তানিয়া রব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, জয়যাত্রার প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপিরসহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মুন্নী প্রমুখ। সভা সঞ্চলানা করেন দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকার।