মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন এবং তারা যাতে নিরাপদ বোধ পারে সে লক্ষ্যেই সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মোখলেস বলেন, মানুষ যাতে আরও জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে, নিরাপদ বোধ করে, মানুষের মধ্যে যাতে আস্থা থাকে- এজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব বাহিনী একইসঙ্গে একই ছাতার নিচে কাজ করছে, এই মেসেজটার জন্যই এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার মনে করেছে, বিস্তৃত পর্যায়ে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ করছে। এই মুহূর্তে মনে হয়েছে এটা দরকার।
'এক রাষ্ট্র এক জনগণ এক সরকার। জনস্বার্থে আপনি কাজ করেন, আমি কাজ করি। এটা (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া) ভালো ফল দেবে,' যোগ করেন জনপ্রশাসন সচিব।
গত প্রায় দুই মাস মাঠে থাকার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নির্বাহী বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী
এই ক্ষমতাবলে সেনা কর্মকর্তারা আগামী দুই মাস ফৌজদারি অপরাধের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১৯৮৯ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬টি ধারায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ধারাগুলো হলো—৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা।