ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আন্দোলনে নিহতের পরিবার প্রাথমিকভাবে পাবে ৫ লাখ, আহত ১ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের প্রত্যেক পরিবার প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে পাবেন। বুধবার ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে চলতি সপ্তাহেই শুরু হয়েছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ এর জরুরি আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম। ইতোমধ্যে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ফাউন্ডেশনে অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও ছাত্র আন্দোলনে শহিদ মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদক করে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রদান করা হবে, এবং নিহতদের পরিবারের জন্য চেকগুলি রাজধানীতে একটি স্মরণসভায় হস্তান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন কমিটি সমাজের সকল স্তরের মানুষ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কমিটি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি অফিস স্পেস এবং স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও, জুলাই-আগস্ট মাসের গণআন্দোলনের ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস এবং অন্যান্য দলিল ও স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ এবং আর্কাইভ করার কাজও করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সভায় বলেছেন যে, ‘এমনকি ক্ষুদ্রতম পরিমাণের অনুদানকেও নথিভুক্ত করতে হবে এবং দাতাদের তালিকাও সংরক্ষণ করা উচিত, সম্ভব হলে ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে তাদের নাম প্রকাশ করা যেতে পারে। এই ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে যাতে এটি সফল হয়।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে। ফাউন্ডেশন যে ক্ষতিপূরণ দেবে তা সরকারের চিকিৎসা ব্যয়ের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদান করা হবে।’

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ, নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান সিংঘো এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্দোলনে নিহতের পরিবার প্রাথমিকভাবে পাবে ৫ লাখ, আহত ১ লাখ

আপডেট সময় : ১০:২৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের প্রত্যেক পরিবার প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে পাবেন। বুধবার ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে চলতি সপ্তাহেই শুরু হয়েছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ এর জরুরি আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম। ইতোমধ্যে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ফাউন্ডেশনে অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও ছাত্র আন্দোলনে শহিদ মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদক করে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রদান করা হবে, এবং নিহতদের পরিবারের জন্য চেকগুলি রাজধানীতে একটি স্মরণসভায় হস্তান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন কমিটি সমাজের সকল স্তরের মানুষ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কমিটি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি অফিস স্পেস এবং স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও, জুলাই-আগস্ট মাসের গণআন্দোলনের ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস এবং অন্যান্য দলিল ও স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ এবং আর্কাইভ করার কাজও করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সভায় বলেছেন যে, ‘এমনকি ক্ষুদ্রতম পরিমাণের অনুদানকেও নথিভুক্ত করতে হবে এবং দাতাদের তালিকাও সংরক্ষণ করা উচিত, সম্ভব হলে ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে তাদের নাম প্রকাশ করা যেতে পারে। এই ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে যাতে এটি সফল হয়।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে। ফাউন্ডেশন যে ক্ষতিপূরণ দেবে তা সরকারের চিকিৎসা ব্যয়ের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদান করা হবে।’

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ, নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান সিংঘো এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।