দেশের সব স্থানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের পরিবার ও আহতদের সাঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আর্থিক সহযোগিতা করার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে কারণ প্রশাসন ফেল করেছে। প্রশাসন কাজ করছে না, এ কারণে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। তবে আমি মনে করি, যেসব এলাকার অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে সেসব এলাকায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া যায়। আর এখনও অনেক জেলার অবস্থা ভালো আছে। রাজনৈতিক নেতারা অনেক কিছু দেখভাল করছেন। সেসব এলাকায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া ঠিক নয়। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, হাসিনা সরকারের জঞ্জাল পরিষ্কার করে সকলের অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের ওপর যেন অন্যায় অত্যাচার না হয়, আমার শিশুদের ওপর গুলি করে যেন এভাবে হত্যা করা না হয়। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করার জন্য যার যার সঙ্গে বলার দরকার, ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সেই ব্যবস্থাগুলো নেবেন।
তিনি বলেন, আমি জানি, আমার কথাগুলো অনেকের মনঃপূত নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। আপনার সেই কাজগুলো করেন যাতে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ, একটা সংঘাতহীন ভবিষ্যত, সন্ত্রাসমুক্ত ভবিষ্যত এবং মানুষের অধিকারযুক্ত ভবিষ্যত ফিরে পেতে পারি।
রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক কাজ করতে দেওয়া, এটাই সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে তিনি মত দেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর দলের পক্ষ থেকে জেলায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত চারজনের পরিবার এবং আহত ৪৩ জনের হাতে নগদ মোট ১৫ লাখ টাকা তুলে দেন।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস সহ জেলা, উপজেলা ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।