মিয়ানমারে কোণঠাসা জান্তা, চাইল চীনের সহায়তা
- আপডেট সময় : ০১:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ক্রমবর্ধমান হামলায় কোণঠাসা জান্তা বাহিনী। এ অবস্থায়, চীন সফরে গিয়ে ড্রোন ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছেন মিয়ানমারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল টিন অং সান। থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১২-১৫ সেপ্টেম্বর চীন সফর করেন মিয়ানমারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই সফরে চীন ও মিয়ানমারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এর আগে, চীন সফর করেন মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার পায়ে। সেসময় নেপিদোকে ৭ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা দেয় বেইজিং।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। গত বছরের অক্টোবরে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশন টেন টুয়েন্টি সেভেন শুরু করে বিদ্রোহীরা। দখল করে নেয় মিয়ানমারের বেশিরভাগ অঞ্চল।
কোণঠাসা সামরিক বাহিনীর শক্তি-সামর্থ্য বৃদ্ধি করতে মরিয়া জান্তা সরকার। এ অবস্থায় চীন সফরে গিয়ে, বেইজিংয়ের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন জান্তার সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টিন অং সান।
বেইজিংয়ের শীর্ষক সামরিক সরঞ্জাম প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। চীনের কাছ থেকে ড্রোন ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মিয়ানমার জান্তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আন্তঃসীমান্ত নিয়েও আলোচনা করেন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এর আগে, চীন সফর করেছেন জান্তা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই সময় বেইজিংয়ের সাথে ২টি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন মিয়ানমার জান্তা। এরমধ্যে চীন-মিয়ানমারকে ৭ লাখ ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার পাশাপাশি বেইজিং ও নেপিদোর নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেয়।
মিয়ানমার জান্তার দুই মন্ত্রীর চীন সফরের আগে, নেপিদো সফর করেন বেইজিংয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিরোধ যোদ্ধারা চীনা অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন জান্তা প্রধান।
এরপর বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। তাদের দাবি – চীনা অস্ত্র ব্যবহার করে দেশটির বেসামরিক মানুষের ওপর বর্বর হামলা চালাচ্ছে মিয়ানমার জান্তা।
এদিকে, জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত, ৩৩৪ শিশুসহ ২ হাজার ৪১৪ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে জান্তা বাহিনী। এদের অর্ধেকের মৃত্যু হয়েছে জান্তার বিমান হামলায়।