০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৬

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১০:১১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬ দেখেছেন

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো— জৈন্তাপুর উপজেলায় আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ, ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান, কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া, কানাইঘাট পৌরসভার বাসিন্দা নুর উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পুটামারা গ্রামের নেজামুল হক এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামের সুলকু মিয়ার ছেলে দীন ইসলাম।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, নাহিদ বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন, আর আব্দুল মান্নান মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বজ্রপাতের সময় নুর উদ্দিন মাছ ধরছিলেন, আর কালা মিয়া ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে হাল চাষ করছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন।

কোম্পানিগঞ্জ নিহত নেজামুলের স্বজনরা জানায়, নেজামুল হাস চরানোর জন্য পাশের হাওরে যাচ্ছিলেন। এসময় আকস্মিক বজ্রাপাত হলে মারা যান তিনি।

অন্যদিকে, সুনামগঞ্জে বাড়ির পাশের হাওরে লাকড়ি আনতে গিয়ে বজ্রপাতের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান দীন ইসলাম। এছাড়া জেলার তা‌হিরপুর উপ‌জেলায় আকস্মিক বজ্রপাতে সুজন মিয়া ও সিরাজ মিয়া নামে আপন দুই ভাই আহত হয়েছে। সুজন ও সিরাজ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিকূল গ্রামের আনফর আলীর ছেলে। উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে আহত সুজন মিয়াকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওছার আলম জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, বজ্রপাতে আহত সুজন মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লেক্সে চি‌কিৎসা নি‌চ্ছেন।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৬

আপডেট : ১০:১১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো— জৈন্তাপুর উপজেলায় আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ, ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান, কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া, কানাইঘাট পৌরসভার বাসিন্দা নুর উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পুটামারা গ্রামের নেজামুল হক এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামের সুলকু মিয়ার ছেলে দীন ইসলাম।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, নাহিদ বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন, আর আব্দুল মান্নান মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বজ্রপাতের সময় নুর উদ্দিন মাছ ধরছিলেন, আর কালা মিয়া ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে হাল চাষ করছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন।

কোম্পানিগঞ্জ নিহত নেজামুলের স্বজনরা জানায়, নেজামুল হাস চরানোর জন্য পাশের হাওরে যাচ্ছিলেন। এসময় আকস্মিক বজ্রাপাত হলে মারা যান তিনি।

অন্যদিকে, সুনামগঞ্জে বাড়ির পাশের হাওরে লাকড়ি আনতে গিয়ে বজ্রপাতের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান দীন ইসলাম। এছাড়া জেলার তা‌হিরপুর উপ‌জেলায় আকস্মিক বজ্রপাতে সুজন মিয়া ও সিরাজ মিয়া নামে আপন দুই ভাই আহত হয়েছে। সুজন ও সিরাজ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিকূল গ্রামের আনফর আলীর ছেলে। উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে আহত সুজন মিয়াকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওছার আলম জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, বজ্রপাতে আহত সুজন মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লেক্সে চি‌কিৎসা নি‌চ্ছেন।