গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের কালই প্রথম খেলতে নেমেছিলেন ক্যারি। এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধ পরিবেশ দুয়ো দিয়ে স্বাগত জানাল তাঁকে। ম্যাচ পরিস্থিতিও কঠিন ছিল, নামতে না নামতেই অন্য প্রান্তের সব ব্যাটসম্যানকে একের পর এক বিদায় নিতে দেখেছেন। কিন্তু কোনো কিছুকে পাত্তা না দিয়ে ঠিকই অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ জিতিয়ে এনেছেন ক্যারি।
৬৮ রানের জয়ে ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
এই সিরিজে ওয়ানডেতেও টি-টোয়েন্টি ঘরানায় খেলছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ট্রাভিস হেড ৩০০ ছাড়ানো স্কোরকেও মামুলি বানিয়ে ফেলেছিলেন। গতকাল একইভাবে শুরু করলেও পাওয়ার প্লের মধ্যে বিদায় নিয়েছেন তিনি। পাওয়ার প্লের পরপরই অন্য ওপেনার শর্ট ফিরেছেন। অধিনায়ক মিচেল মার্শ তবু আক্রমণ চালিয়ে গেছেন। তাঁর ৫৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান ২৫ ওভারের মধ্যে ১৪৫ রানে পৌঁছে দেয় সফরকারীদের।
ওই ওভারেই বেথেলকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লাবুশেন, নামেন ক্যারি। কিন্তু ক্যারি থিতু হওয়ার আগেই ৯ বলের জুটি গড়ে বিদায় মার্শের। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল একটা ছক্কা মেরেই দায়িত্ব শেষ করে চলে যান। অ্যারন হার্ডি (২৩) ৫৫ রানের জুটি গড়ে একটু সাহস জোগালেও ৩৬তম ওভারের শুরুতে ফিরে গেছেন। ৯ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোয় দেখা গেল ইনিংস শেষ হওয়ার ৮১ বল আগেই ৯ উইকেট শেষ অস্ট্রেলিয়ার।
এমন পরিস্থিতিতে হাল ছেড়ে দিতে পারতেন ক্যারি। কিন্তু জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েছেন, এর মধ্যে হ্যাজলউডের অবদান ৪। ৪৫তম ওভারে অস্ট্রেলিয়া যখন গুটিয়ে গেল, সফরকারীদের রান ২৭০। পুরো জুটিতে ক্যারি দেখিয়ে দিয়েছেন টেলএন্ডার নিয়ে কীভাবে ব্যাট করতে হয়। ওভারের শেষ বলের আগে প্রান্ত বদল না করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। ৬৭ বলে ৭৪ রান করা ক্যারিই আউট হয়েছেন, অন্য প্রান্তে হ্যাজলউড ঠিকই টিকেছিলেন।
কিন্তু অসুস্থতা কাটিয়ে ফেরা হ্যাজলউড ও মিচেল স্টার্ক যে এর পরীক্ষা নেবেন, সেটা অনুমেয় ছিল। সঙ্গে অ্যারন হার্ডিও যোগ দিলেন। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে হ্যারি ব্রুককে এলবিডাব্লিউ করা স্টার্কের ইনসুইং বলটি ছিল দেখার মতো।
জেমি স্মিথ ও জ্যাকব বেথেলের জুটিতে ৫৫ রান এসেছে। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের বাজে এক বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বেথেল (২৫)। ৩১তম ওভারে ৪৯ রানে স্মিথ ফিরে গেলে ম্যাচ নিয়ে সব অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যায়। ব্রাইডন কার্স ও আদিল রশিদ একটু চেষ্টা করলেও ৪১তম ওভারে অলআউট হয় স্বাগতিক দল।