ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, তাঁর মন্ত্রণালয় দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়ানোর পক্ষে এবং রপ্তানির বিপক্ষে। আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। আমরা না। আমাদের কমিটমেন্ট আগের মতোই আছে। আমরা ইলিশ রপ্তানির বিপক্ষে।’
রপ্তানি করলেই ইলিশের দাম বেড়ে যাবে না উল্লখে করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দাম বেড়ে যাবে, এটাও ঠিক না। অনেক ইলিশ আছে দেশে। গতবারও তারা কম ইলিশ নিয়েছে। রপ্তানির খবরে দাম বাড়লে ব্যবস্থা নেব।’
পূজার সঙ্গে ইলিশ সম্পর্কিত না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ফরিদা আখতার। তিনি জানান, ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর ইলিশ আহরণ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসময় জেলেদের খাদ্য সহয়তা বাড়ানো হবে।’
সভায় কর্মকর্তারা বলেন, নদীতে পলি পড়ায় সমুদ্র থেকে মিঠা পানিতে মাছ আসার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে মাছের পরিভ্রমণ ও ডিম উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই আগামী ১ মাসের মধ্যে নদী ডেইজিং করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
এদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করতে আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার।
দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ইলিশ মাছ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে ভারতের ফিশ ইমপোরটার্স অ্যাসোসিয়েশন। গত ৯ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।
তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে ৫০০ টন চাহিদার প্রেক্ষিতে ৫০০, ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৫০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ৮৫০, ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ২০০, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ৩০০ এবং ২০২৩ সালে ৩ হাজার ৯৫০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ৩০০ টন ইলিশ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।