প্রায় সাড়ে তিন মাস পর শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। প্রতিটি বিভাগে ক্লাস রুটিনসহ দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি, প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা এবং সবশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ফলে ১২১ দিন ক্লাস বন্ধ থাকার পর আজ (রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা-কার্যক্রমে ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রথম দিনে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি তূলনামূলক কম হলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বতস্ফূর্ততা লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘ সময় ক্লাস বন্ধ থাকায় একদিকে শিক্ষার্থীরা সেশন জটের আশংকা করছেন তেমনি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
এদিকে আজ (রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন চত্বরে আয়োজিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সবার মধ্যেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।’
জুলাই আগস্ট বিপ্লব ঘিরে যে ট্রমা সৃষ্টি হয়েছে সেটা কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের ঘিরে পরিকল্পনা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। বলেন, সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরবে।
এছাড়া শ্রেণি কার্যকম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটিও কাটিয়ে উঠে জাতির প্রত্যাশা পূরণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার্থে স্পোকপার্সন নিয়োগের কথাও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যেসব শিক্ষক ছাত্রদের গণহত্যাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তাদের অপসারণের দাবিও জানায় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষায় সুস্থ কার্যক্রম ফিরয়ে আনতে শিক্ষকদের আন্তরিক হবার আহ্বানও জানায় শিক্ষার্থীরা।