০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজ অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ উপ-হাইকমিশনার এবং ডেভেলপমেন্ট ডাইরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এ সহযোগিতা চান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে শিল্প উপদেষ্টা জানান, ব্রিটেন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। এক সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব।

শিল্প উপদেষ্টা বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জানান, বাংলাদেশ এবং গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে ১৯ জুন ১৯৮০ সালে একটি দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ ও সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। চুক্তিটি হালনাগাদ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বাংলাদেশ।

সিনিয়র সচিব চামড়া, চিনি, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, সার, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, পরিবেশ এবং জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এবং অন্যান্য উপযুক্ত সেক্টরে যুক্তরাজ্যকে আরো বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন।

ব্রিটিশ উপ-হাইকমিশনার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করছে এবং বিশেষায়িত দল গঠনের মাধ্যমে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে চান। তিনি বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেরত প্রদানের বিষয়ে সহযোগিতা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

আপডেট : ০৬:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজ অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ উপ-হাইকমিশনার এবং ডেভেলপমেন্ট ডাইরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এ সহযোগিতা চান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে শিল্প উপদেষ্টা জানান, ব্রিটেন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। এক সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব।

শিল্প উপদেষ্টা বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জানান, বাংলাদেশ এবং গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে ১৯ জুন ১৯৮০ সালে একটি দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ ও সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। চুক্তিটি হালনাগাদ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বাংলাদেশ।

সিনিয়র সচিব চামড়া, চিনি, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, সার, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, পরিবেশ এবং জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এবং অন্যান্য উপযুক্ত সেক্টরে যুক্তরাজ্যকে আরো বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন।

ব্রিটিশ উপ-হাইকমিশনার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করছে এবং বিশেষায়িত দল গঠনের মাধ্যমে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে চান। তিনি বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেরত প্রদানের বিষয়ে সহযোগিতা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।