১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামাস প্রধানকে নিয়ে দিশেহারা ইসরায়েলি গোয়েন্দারা

প্রায় এক বছর ধরে মাত্র ১৪১ বর্গমাইলের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। তবে এত হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও তাদের টার্গেট কিন্তু আরেকজন। দীর্ঘদিনের এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি তিনি জীবিত নাকি মৃত, তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি ইসরায়েলি গোয়েন্দারা।

তবে দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াহিয়া সিনওয়ার লোকচক্ষুর আড়লে। মাস দুয়েক আগে ইসরায়েলি হামলায় ইসমাইল হানিয়া প্রাণ হারালে হামাসের হাল ধরেন তিনি। এত বড় দায়িত্ব নেয়ার পরও তিনি প্রকাশ্যে আসেননি। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইসরায়েলি গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হতে পারেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তদন্ত করছে। তবে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার মতো শক্ত কোনো প্রমাণ তাদের হাতে এখনো নেই।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, ইয়াহিয়া সিনওয়ার দীর্ঘ সময় লোকচক্ষুর আড়ালে। বিষয়টি মোটেও স্বাভাবিক নয়। এ কারণে তার মৃত্যু ঘিরে আরও জল্পনা-কল্পনা ডালপালা মেলেছে।

ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কান, হারেৎজ, মারিভ ও ওয়াল্লা নিউজের মতো সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, গাজায় বিমান হামলার সময় ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন—এ ধরনের একটি সম্ভাবনা নিয়ে তদন্ত করছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট। তবে ইসরায়েলি অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের ধারণা, ইয়াহিয়া সিনওয়ার এখনো বেঁচে আছেন। তবে তিনি চুপ-চাপ আছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা করে হামাস যোদ্ধারা। তাদের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ২৫০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসেন হামাস যোদ্ধারা। আর এই হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ধরা হয় ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। এই হামলার পর থেকেই তিনি গাজার নীচে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে লুকিয়ে আছেন। শুধু যুদ্ধবিরতি বা বন্দিবিনিময় আলোচনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বার্তা আদান-প্রদানের সময় পুনরায় আবির্ভূত হন তিনি।

হামাস প্রধানকে নিয়ে দিশেহারা ইসরায়েলি গোয়েন্দারা

আপডেট : ০৬:০৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রায় এক বছর ধরে মাত্র ১৪১ বর্গমাইলের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। তবে এত হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও তাদের টার্গেট কিন্তু আরেকজন। দীর্ঘদিনের এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি তিনি জীবিত নাকি মৃত, তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি ইসরায়েলি গোয়েন্দারা।

তবে দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াহিয়া সিনওয়ার লোকচক্ষুর আড়লে। মাস দুয়েক আগে ইসরায়েলি হামলায় ইসমাইল হানিয়া প্রাণ হারালে হামাসের হাল ধরেন তিনি। এত বড় দায়িত্ব নেয়ার পরও তিনি প্রকাশ্যে আসেননি। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইসরায়েলি গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হতে পারেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তদন্ত করছে। তবে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার মতো শক্ত কোনো প্রমাণ তাদের হাতে এখনো নেই।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, ইয়াহিয়া সিনওয়ার দীর্ঘ সময় লোকচক্ষুর আড়ালে। বিষয়টি মোটেও স্বাভাবিক নয়। এ কারণে তার মৃত্যু ঘিরে আরও জল্পনা-কল্পনা ডালপালা মেলেছে।

ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কান, হারেৎজ, মারিভ ও ওয়াল্লা নিউজের মতো সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, গাজায় বিমান হামলার সময় ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন—এ ধরনের একটি সম্ভাবনা নিয়ে তদন্ত করছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট। তবে ইসরায়েলি অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের ধারণা, ইয়াহিয়া সিনওয়ার এখনো বেঁচে আছেন। তবে তিনি চুপ-চাপ আছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা করে হামাস যোদ্ধারা। তাদের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ২৫০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসেন হামাস যোদ্ধারা। আর এই হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ধরা হয় ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। এই হামলার পর থেকেই তিনি গাজার নীচে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে লুকিয়ে আছেন। শুধু যুদ্ধবিরতি বা বন্দিবিনিময় আলোচনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বার্তা আদান-প্রদানের সময় পুনরায় আবির্ভূত হন তিনি।