০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈরুতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলা

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বের কয়েকটি এলাকায় হামলার মধ্যেই এবার রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি লাইভে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ বৈরুতের ওই হামলায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষে লেবাননের রাজধানীতে হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করার পর হতাহতের সংখ্যা জানাল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এরআগে বিবিসি জানিয়েছিল, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৫৫৮ জনে পৌঁছেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা এটি।

বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইরাস আবিয়াদ বলেছেন, ‘নিহতদের মধ্যে ৯৪ জন নারী ও ৫০ শিশু রয়েছে। ওই হামলায় প্রায় ১৮৩৫ জন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে এখনো ৫৪ জন হাসপাতলে চিকিৎসাধীন । নিহতদের মধ্যে ৪ জন স্থাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন, এছাড়া ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন। সরকার হামলায় হতাহতদের সহায়তা করতে সম্মত আছে।’

হতাহতের মধ্যে কতজন বেসামরিক মানুষ আর কতজন যোদ্ধা রয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ হামলাকে দেশটিতে ১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর থেকে হিজবুল্লাহ লেবাননে যত অবকাঠামো তৈরি করেছিল, তা ধ্বংসের অভিযানে নেমেছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, এরই মধ্যে হিজবুল্লাহর ১ হাজার ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ২০০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে। বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশগুলো বলছে, ইসরায়েল ও লেবানন সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। উভয় পক্ষেরই সংযমী হওয়া উচিত।

লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেন, ইসরায়েলি হামলার কারণে হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, লেবানন যেন আরেক গাজায় পরিণত না হয়।

কয়েক দিন ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এরই মধ্যে সোমবার ভোর থেকে আকাশপথে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। জবাবে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দুই শতাধিক রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার পর থেকেই গাজায় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি হিজবুল্লাহসহ ইরান সমর্থিত অন্য আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলো সেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।

বৈরুতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলা

আপডেট : ১০:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বের কয়েকটি এলাকায় হামলার মধ্যেই এবার রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি লাইভে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ বৈরুতের ওই হামলায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষে লেবাননের রাজধানীতে হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করার পর হতাহতের সংখ্যা জানাল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এরআগে বিবিসি জানিয়েছিল, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৫৫৮ জনে পৌঁছেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা এটি।

বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইরাস আবিয়াদ বলেছেন, ‘নিহতদের মধ্যে ৯৪ জন নারী ও ৫০ শিশু রয়েছে। ওই হামলায় প্রায় ১৮৩৫ জন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে এখনো ৫৪ জন হাসপাতলে চিকিৎসাধীন । নিহতদের মধ্যে ৪ জন স্থাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন, এছাড়া ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন। সরকার হামলায় হতাহতদের সহায়তা করতে সম্মত আছে।’

হতাহতের মধ্যে কতজন বেসামরিক মানুষ আর কতজন যোদ্ধা রয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ হামলাকে দেশটিতে ১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর থেকে হিজবুল্লাহ লেবাননে যত অবকাঠামো তৈরি করেছিল, তা ধ্বংসের অভিযানে নেমেছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, এরই মধ্যে হিজবুল্লাহর ১ হাজার ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ২০০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে। বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশগুলো বলছে, ইসরায়েল ও লেবানন সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। উভয় পক্ষেরই সংযমী হওয়া উচিত।

লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেন, ইসরায়েলি হামলার কারণে হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, লেবানন যেন আরেক গাজায় পরিণত না হয়।

কয়েক দিন ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এরই মধ্যে সোমবার ভোর থেকে আকাশপথে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। জবাবে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দুই শতাধিক রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার পর থেকেই গাজায় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি হিজবুল্লাহসহ ইরান সমর্থিত অন্য আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলো সেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।