০৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শত্রুর বুকে ভয় ধরাতে যেসব বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সামনে আনলো ইরান

ইরানে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উদযাপন চলছে। এই দুই অনুষ্ঠান উপলক্ষে চিরশত্রু ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বুকে কাঁপন ধরাতে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিমান ইউনিটের কয়েক ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইরানের প্রতিরক্ষা ও সামরিক শক্তির একটি অংশকে সামনে এসেছে

পার্সটুডের খবর অনুযায়ী, ফাত্তাহ, খাইবারশাকান, হজ কাসিম, কদর, এমাদ, খোররামশাহর, সাজিল ও জিহাহের মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এবার দেখে নেয়া যাক, এসব অস্ত্রের কোনটার কেমন ক্ষমতা।

১. ফাত্তাহ হাইপারসনিক মিসাইল
ফাত্তাহ-২ ইরানের তৈরি হাইপারসনিক মিসাইলের একটি নতুন সংস্করণ। এটি হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল (এইচজিভি) এবং হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের (এইচসিএম) সমন্বয়ে তৈরি। ভবিষ্যতে এর আরও সংস্করণ তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফাত্তাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলটি ১৪০০ কিলোমিটার দূরের শত্রুর ঘাঁটিতে আঘাত হানতে পারে। এমনকি শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজেই এর অবস্থান শনাক্ত করতে পারে না।

২. খাইবার শেকন ক্ষেপণাস্ত্র
মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র খাইবার শেকনের পরিচালনায় রয়েছে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কোরের অ্যারোস্পেস। ২০২২ সালে এটি বের করা হয়। এটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে পরিচালিত হয়। এর পরিসীমা ১৪০০ কিলোমিটার। খাইবার শেকনকে নতুন প্রজন্মের এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নের রূপান্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খাইবার শেকান ক্ষেপণাস্ত্রের আলাদা বিস্তৃত লঞ্চার ব্যবহারের ক্ষমতা রয়েছে। এর জন্য ব্যবহৃত লঞ্চারটি ছদ্মবেশ ধারণ করে শত্রুদের চোখ ফাঁকি দিতে পারে।

৩. হজ কাসেম ক্ষেপণাস্ত্র
মার্কিন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে এটি ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে রয়েছে। হজ কাসেম ইরানের তৈরি মাঝারি পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর রেঞ্জ ১৫০০ থেকে ১৮০০ কিলোমিটার।

৪. কদর ক্ষেপণাস্ত্র
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিশ্বের দ্রুততম ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি প্রায় ৬ ম্যাক স্কেলের গতিতে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। অর্থ্যাৎ এর গতি ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি।

৫. ইমাদ ক্ষেপণাস্ত্র
এটি একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। বিস্ফোরণের মুহূর্ত পর্যন্ত নির্দেশিত থাকে এবং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে। ইমাদ প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দূরের শত্রু শিবিরে আঘাত হানতে পারে।

৬. খোররামশহর ক্ষেপণাস্ত্র
এটি তরল জ্বালানি ব্যবহার করে পারিচালিত হয়। আঘাত হানার ক্ষমতা দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। ১৫০০ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে পারে।

শত্রুর বুকে ভয় ধরাতে যেসব বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সামনে আনলো ইরান

আপডেট : ১২:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইরানে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উদযাপন চলছে। এই দুই অনুষ্ঠান উপলক্ষে চিরশত্রু ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বুকে কাঁপন ধরাতে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিমান ইউনিটের কয়েক ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইরানের প্রতিরক্ষা ও সামরিক শক্তির একটি অংশকে সামনে এসেছে

পার্সটুডের খবর অনুযায়ী, ফাত্তাহ, খাইবারশাকান, হজ কাসিম, কদর, এমাদ, খোররামশাহর, সাজিল ও জিহাহের মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এবার দেখে নেয়া যাক, এসব অস্ত্রের কোনটার কেমন ক্ষমতা।

১. ফাত্তাহ হাইপারসনিক মিসাইল
ফাত্তাহ-২ ইরানের তৈরি হাইপারসনিক মিসাইলের একটি নতুন সংস্করণ। এটি হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল (এইচজিভি) এবং হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের (এইচসিএম) সমন্বয়ে তৈরি। ভবিষ্যতে এর আরও সংস্করণ তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফাত্তাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলটি ১৪০০ কিলোমিটার দূরের শত্রুর ঘাঁটিতে আঘাত হানতে পারে। এমনকি শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজেই এর অবস্থান শনাক্ত করতে পারে না।

২. খাইবার শেকন ক্ষেপণাস্ত্র
মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র খাইবার শেকনের পরিচালনায় রয়েছে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কোরের অ্যারোস্পেস। ২০২২ সালে এটি বের করা হয়। এটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে পরিচালিত হয়। এর পরিসীমা ১৪০০ কিলোমিটার। খাইবার শেকনকে নতুন প্রজন্মের এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নের রূপান্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খাইবার শেকান ক্ষেপণাস্ত্রের আলাদা বিস্তৃত লঞ্চার ব্যবহারের ক্ষমতা রয়েছে। এর জন্য ব্যবহৃত লঞ্চারটি ছদ্মবেশ ধারণ করে শত্রুদের চোখ ফাঁকি দিতে পারে।

৩. হজ কাসেম ক্ষেপণাস্ত্র
মার্কিন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে এটি ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে রয়েছে। হজ কাসেম ইরানের তৈরি মাঝারি পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর রেঞ্জ ১৫০০ থেকে ১৮০০ কিলোমিটার।

৪. কদর ক্ষেপণাস্ত্র
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিশ্বের দ্রুততম ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি প্রায় ৬ ম্যাক স্কেলের গতিতে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। অর্থ্যাৎ এর গতি ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি।

৫. ইমাদ ক্ষেপণাস্ত্র
এটি একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। বিস্ফোরণের মুহূর্ত পর্যন্ত নির্দেশিত থাকে এবং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে। ইমাদ প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দূরের শত্রু শিবিরে আঘাত হানতে পারে।

৬. খোররামশহর ক্ষেপণাস্ত্র
এটি তরল জ্বালানি ব্যবহার করে পারিচালিত হয়। আঘাত হানার ক্ষমতা দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। ১৫০০ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে পারে।