০৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১ নভেম্বর থেকে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে অভিযান: পরিবেশ উপদেষ্টা

১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এর অংশ হিসেবে পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানায়ও অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি। আজ (মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল সিটি করপোরেশ মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, জলবায়ু ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ঘোষণা দেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না, এমনকি ক্রেতাদের এ ধরনের ব্যাগ দেয়াও যাবে না।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ (মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুর টাউন হল সিটি করপোরেশন মার্কেট পরিদর্শনে আসেন তিনি। এসময় বাজার ঘুরে দেখেন এবং বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। এসময় তিনি বলেন, ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ এবং একইসাথে যেখানে পলিথিন উৎপাদন হয় সেখানে অভিযান চালানো হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সুপারশপের মলগুলোর পাশাপাশি আমরা ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারগুলোতেও আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে। তখন কিন্তু আজকের মতো আলাপ-আলোচনার কার্যক্রম হবে না। যেখানে পলিথিন উৎপাদন হয় সেখানে অভিযান চালানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘দোকান মালিক সমিতির সাথে আমাদের মিটিং হয়েছে, তারাও আমাদের কথা দিয়েছেন, তাদের একটা মাস সময় লাগবে। সুপারশপ, শপিংমল ১ অক্টোবর থেকে শুরু করবে এবং দোকান মালিক সমিতি ১ নভেম্বর থেকে শুরু করতে চায়।’

এদিকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া গেলে তারা সেটিই ব্যবহার করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে তাদের দাবি, পলিথিন ব্যাগের কারখানা বন্ধ না করা গেলে এবং প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি না হলে এই ব্যাগের ব্যবহার আবারও বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিজেদের আরও বেশি সচেতন হওয়ারও পরামর্শ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

দেশ থেকে পলিথিন জাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ হচ্ছে। এরকম ঘোষণা এর আগেও অনেকবার বিভিন্ন সরকারের সময় এসেছে। তবে মানার বালাই নেই বললেই চলে। সারাদেশে বিভিন্ন ছোট বড় ফ্যাক্টরিতে অবৈধভাবে এই পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স ২০২২ এর তথ্যানুযায়ী পরিবেশ দূষণ রোধে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বৈশ্বিক মোট প্লাস্টিক দূষণের ২.৪৭ শতাংশ বাংলাদেশে হয়। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হলেও, কার্যকর প্রয়োগের অভাবে প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ দূষণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।

১ নভেম্বর থেকে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে অভিযান: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট : ০৩:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এর অংশ হিসেবে পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানায়ও অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি। আজ (মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল সিটি করপোরেশ মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, জলবায়ু ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ঘোষণা দেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না, এমনকি ক্রেতাদের এ ধরনের ব্যাগ দেয়াও যাবে না।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ (মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুর টাউন হল সিটি করপোরেশন মার্কেট পরিদর্শনে আসেন তিনি। এসময় বাজার ঘুরে দেখেন এবং বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। এসময় তিনি বলেন, ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ এবং একইসাথে যেখানে পলিথিন উৎপাদন হয় সেখানে অভিযান চালানো হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সুপারশপের মলগুলোর পাশাপাশি আমরা ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারগুলোতেও আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে। তখন কিন্তু আজকের মতো আলাপ-আলোচনার কার্যক্রম হবে না। যেখানে পলিথিন উৎপাদন হয় সেখানে অভিযান চালানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘দোকান মালিক সমিতির সাথে আমাদের মিটিং হয়েছে, তারাও আমাদের কথা দিয়েছেন, তাদের একটা মাস সময় লাগবে। সুপারশপ, শপিংমল ১ অক্টোবর থেকে শুরু করবে এবং দোকান মালিক সমিতি ১ নভেম্বর থেকে শুরু করতে চায়।’

এদিকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া গেলে তারা সেটিই ব্যবহার করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে তাদের দাবি, পলিথিন ব্যাগের কারখানা বন্ধ না করা গেলে এবং প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি না হলে এই ব্যাগের ব্যবহার আবারও বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিজেদের আরও বেশি সচেতন হওয়ারও পরামর্শ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

দেশ থেকে পলিথিন জাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ হচ্ছে। এরকম ঘোষণা এর আগেও অনেকবার বিভিন্ন সরকারের সময় এসেছে। তবে মানার বালাই নেই বললেই চলে। সারাদেশে বিভিন্ন ছোট বড় ফ্যাক্টরিতে অবৈধভাবে এই পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স ২০২২ এর তথ্যানুযায়ী পরিবেশ দূষণ রোধে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বৈশ্বিক মোট প্লাস্টিক দূষণের ২.৪৭ শতাংশ বাংলাদেশে হয়। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হলেও, কার্যকর প্রয়োগের অভাবে প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ দূষণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।