০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে ভিক্ষুক পাঠাতে মানা করল সৌদি আরব

হজযাত্রীর ছদ্মবেশে সৌদি আরবে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন পাকিস্তানিরা। এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক পাকিস্তুানি ভিক্ষুককে শনাক্ত করেছে সৌদি আরব। বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিয়েছে রিয়াদ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের সৌদি আরবে ঢোকা রোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব। দেশটির সরকার বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা পাকিস্তানি ওমরাহ ও হজযাত্রীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করেছে এবং পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের ওমরাহ ভিসার আওতায় দেশটিতে প্রবেশে বাধা দিতে পদক্ষেপণ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি সরকারের বার্তা পাওয়ার পর ধর্ম মন্ত্রণালয় নতুন করে ‘ওমরাহ আইন’ প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার লক্ষ্য ওমরাহ ভ্রমণের সুবিধা দেওয়া ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাদের আইনি তত্ত্বাবধানে আনা।

এদিকে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এর আগেও সৌদি আরবে পাকিস্তানি ভিক্ষুক পাঠানো নিয়ে কথা উঠেছিল। তখন বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত নাওয়াফ বিন সাইদ আহমেদ আল-মালকির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সৌদি আরবে ভিক্ষুক পাঠানোর জন্য দায়ী মাফিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নেওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (এফআইএ) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত বছর পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব জিশান খানজাদাও বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানি ভিক্ষুকেরা ওমরাহর আড়ালে মধ্যপ্রাচ্যে যাতায়াত করছে। বেশির ভাগ মানুষই ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে যান এবং তারপর ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন।

পাকিস্তানের প্রবাসী কল্যাণসংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব আরশাদ মাহমুদ গত বছর বলেছিলেন, উপসাগরীয় বেশ কয়েকটি দেশ প্রবাসী পাকিস্তানিদের আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

পাকিস্তানের প্রবাসী পাকিস্তানি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মতে, বিভিন্ন দেশে আটক হওয়া ভিক্ষুকদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের।

পাকিস্তানকে ভিক্ষুক পাঠাতে মানা করল সৌদি আরব

আপডেট : ১০:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হজযাত্রীর ছদ্মবেশে সৌদি আরবে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন পাকিস্তানিরা। এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক পাকিস্তুানি ভিক্ষুককে শনাক্ত করেছে সৌদি আরব। বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিয়েছে রিয়াদ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের সৌদি আরবে ঢোকা রোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব। দেশটির সরকার বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা পাকিস্তানি ওমরাহ ও হজযাত্রীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করেছে এবং পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের ওমরাহ ভিসার আওতায় দেশটিতে প্রবেশে বাধা দিতে পদক্ষেপণ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি সরকারের বার্তা পাওয়ার পর ধর্ম মন্ত্রণালয় নতুন করে ‘ওমরাহ আইন’ প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার লক্ষ্য ওমরাহ ভ্রমণের সুবিধা দেওয়া ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাদের আইনি তত্ত্বাবধানে আনা।

এদিকে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এর আগেও সৌদি আরবে পাকিস্তানি ভিক্ষুক পাঠানো নিয়ে কথা উঠেছিল। তখন বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত নাওয়াফ বিন সাইদ আহমেদ আল-মালকির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সৌদি আরবে ভিক্ষুক পাঠানোর জন্য দায়ী মাফিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নেওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (এফআইএ) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত বছর পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব জিশান খানজাদাও বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানি ভিক্ষুকেরা ওমরাহর আড়ালে মধ্যপ্রাচ্যে যাতায়াত করছে। বেশির ভাগ মানুষই ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে যান এবং তারপর ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন।

পাকিস্তানের প্রবাসী কল্যাণসংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব আরশাদ মাহমুদ গত বছর বলেছিলেন, উপসাগরীয় বেশ কয়েকটি দেশ প্রবাসী পাকিস্তানিদের আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

পাকিস্তানের প্রবাসী পাকিস্তানি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মতে, বিভিন্ন দেশে আটক হওয়া ভিক্ষুকদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের।