ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গাজায় যা ঘটছে তার জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী : মাহমুদ আব্বাস

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পশ্চিম তীর ও গাজায় রক্তপাতের অবসানে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় অবিলম্বে গাজা যুদ্ধ অবসানে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ওয়াশিংটন গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে কূটনৈতিক আচ্ছাদন দিচ্ছে এবং অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে। সেখানে মৃতের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন ও সহায়তা করে যাচ্ছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় বর্তমানে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজার ৫৩৪ জনে পৌঁছেছে বলে উপত্যকার হামাস নিয়ন্ত্রিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

জাতিসংঘ অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় ফিলিস্তিনি এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘এই অপরাধ থামান। এখনই থামান। শিশু ও নারী হত্যা বন্ধ করুন। গণহত্যা বন্ধ করুন। ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করুন। এই উন্মাদনা চলতে পারে না। গাজা এবং পশ্চিম তীরে আমাদের জনগণের সাথে যা ঘটছে, তার জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী।’’

যুদ্ধের কারণে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ২৪ লাখ বাসিন্দার বেশিরভাগই অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সাথে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর লাখ লাখ মানুষ স্কুল ভবন ও বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এসব আশ্রয় কেন্দ্র ইসরায়েলি হামলায় তছনছ হয়ে গেছে।

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের অবসানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র অতীতে বারবার ভেটো দিয়েছে। এর নিন্দা জানিয়ে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র একা দাঁড়িয়ে বলল, না, লড়াই চলবে। দেশটি ভেটো ক্ষমতাকে ব্যবহার করে এটা করেছে।’’

হাজার হাজার বেসামরিক, শিশু ও নারীদের হত্যায় ইসরায়েল প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ ইসরায়েলকে আগ্রাসন ক্রমাগত চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে। ইসরায়েল জাতিসংঘে থাকার যোগ্য নয়।

বিশ্বে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সহায়তাকারী যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ও সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে ওয়াশিংটন।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে ১ হাজার ২০৫ জনকে হত্যা করেছে হামাস; যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। ওই সময় ২৫১ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে হামাস।

পরে কয়েক দফার যুদ্ধবিরতিতে শতাধিক জিম্মিকে ছেড়ে দেয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী। তবে এখনও হামাসের হাতে অন্তত ৯৭ জন জিম্মি আছেন। এছাড়া জিম্মিদের মধ্যে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় যা ঘটছে তার জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী : মাহমুদ আব্বাস

আপডেট সময় : ১০:৩০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পশ্চিম তীর ও গাজায় রক্তপাতের অবসানে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় অবিলম্বে গাজা যুদ্ধ অবসানে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ওয়াশিংটন গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে কূটনৈতিক আচ্ছাদন দিচ্ছে এবং অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে। সেখানে মৃতের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন ও সহায়তা করে যাচ্ছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় বর্তমানে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজার ৫৩৪ জনে পৌঁছেছে বলে উপত্যকার হামাস নিয়ন্ত্রিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

জাতিসংঘ অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় ফিলিস্তিনি এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘এই অপরাধ থামান। এখনই থামান। শিশু ও নারী হত্যা বন্ধ করুন। গণহত্যা বন্ধ করুন। ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করুন। এই উন্মাদনা চলতে পারে না। গাজা এবং পশ্চিম তীরে আমাদের জনগণের সাথে যা ঘটছে, তার জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী।’’

যুদ্ধের কারণে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ২৪ লাখ বাসিন্দার বেশিরভাগই অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সাথে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর লাখ লাখ মানুষ স্কুল ভবন ও বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এসব আশ্রয় কেন্দ্র ইসরায়েলি হামলায় তছনছ হয়ে গেছে।

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের অবসানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র অতীতে বারবার ভেটো দিয়েছে। এর নিন্দা জানিয়ে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র একা দাঁড়িয়ে বলল, না, লড়াই চলবে। দেশটি ভেটো ক্ষমতাকে ব্যবহার করে এটা করেছে।’’

হাজার হাজার বেসামরিক, শিশু ও নারীদের হত্যায় ইসরায়েল প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ ইসরায়েলকে আগ্রাসন ক্রমাগত চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে। ইসরায়েল জাতিসংঘে থাকার যোগ্য নয়।

বিশ্বে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সহায়তাকারী যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ও সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে ওয়াশিংটন।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে ১ হাজার ২০৫ জনকে হত্যা করেছে হামাস; যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। ওই সময় ২৫১ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে হামাস।

পরে কয়েক দফার যুদ্ধবিরতিতে শতাধিক জিম্মিকে ছেড়ে দেয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী। তবে এখনও হামাসের হাতে অন্তত ৯৭ জন জিম্মি আছেন। এছাড়া জিম্মিদের মধ্যে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।