ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শেয়ারবাজার থেকেই ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছে সালমান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কারসাজি করে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে দেশের শেয়ারবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান। এছাড়া ‘সুকুক গ্রীন বন্ড’ ছেড়ে মানুষের পকেট থেকে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে বেক্সিমকো। দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়া সালমান রহমান ও বেক্সিমকো গ্র“পের শেয়ারবাজার কেলেংকারি ও লুটপাটের তদন্ত চলছে। রাজনৈতিক ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আর্থিকখাত লুটপাট করা হয়েছে বলে মনে করেন এ খাতের বিশ্লেষকরা।

শেয়ারবাজার কারসাজিতে সর্বাগ্রে যে নাম আসে তা হলো সালমান এফ রহমান। ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার লুটপাটের তদন্তে তার নাম আসলেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী হওয়ায় ধরা ছোয়ার বাইরে, ছিলেন।

ঋণখেলাপিসহ নানা অভিযোগে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জেলে গিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে জেল থেকে বের হয়। তারপর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সালমান এফ রহমান।

গত ৩১ বছরে দেশের শেয়ারবাজারের প্রত্যেকটি বড় কেলেঙ্কারিতে সালমান এফ রহমানের নাম জড়িত। দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়া অভিযোগ থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শেষ তিন বছরে তিনি দৃশ্যমানভাবেই বাজার থেকে নিয়েছেন ৬৬০০ কোটি টাকা। আর অদৃশ্যভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন ২০ হাজার কোটি টাকা।

গত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতি, লুটপাট, জালিয়াতি ও টাকা পাচারের অভিযোগও রয়েছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে। লুটপাটের অর্থপাচারের দায়ে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি। পুজিবাজারে কারসাজি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক খাতে লুটপাট দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানান বিশ্লেষকরা।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার শেষ দিকে বেক্সিমকো ‘সুকুক গ্রীন বন্ড’ নামে বাজারে একটি বন্ধ ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই বন্ড ছেড়ে আরো ২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সালমান এফ রহমান। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে তার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। বর্তমানে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় জেলে রয়েছেন দরবেশ খ্যাত ব্যবসায়ি সালমান এফ রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেয়ারবাজার থেকেই ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছে সালমান

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কারসাজি করে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে দেশের শেয়ারবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান। এছাড়া ‘সুকুক গ্রীন বন্ড’ ছেড়ে মানুষের পকেট থেকে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে বেক্সিমকো। দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়া সালমান রহমান ও বেক্সিমকো গ্র“পের শেয়ারবাজার কেলেংকারি ও লুটপাটের তদন্ত চলছে। রাজনৈতিক ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আর্থিকখাত লুটপাট করা হয়েছে বলে মনে করেন এ খাতের বিশ্লেষকরা।

শেয়ারবাজার কারসাজিতে সর্বাগ্রে যে নাম আসে তা হলো সালমান এফ রহমান। ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার লুটপাটের তদন্তে তার নাম আসলেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী হওয়ায় ধরা ছোয়ার বাইরে, ছিলেন।

ঋণখেলাপিসহ নানা অভিযোগে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জেলে গিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে জেল থেকে বের হয়। তারপর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সালমান এফ রহমান।

গত ৩১ বছরে দেশের শেয়ারবাজারের প্রত্যেকটি বড় কেলেঙ্কারিতে সালমান এফ রহমানের নাম জড়িত। দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়া অভিযোগ থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শেষ তিন বছরে তিনি দৃশ্যমানভাবেই বাজার থেকে নিয়েছেন ৬৬০০ কোটি টাকা। আর অদৃশ্যভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন ২০ হাজার কোটি টাকা।

গত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতি, লুটপাট, জালিয়াতি ও টাকা পাচারের অভিযোগও রয়েছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে। লুটপাটের অর্থপাচারের দায়ে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি। পুজিবাজারে কারসাজি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক খাতে লুটপাট দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানান বিশ্লেষকরা।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার শেষ দিকে বেক্সিমকো ‘সুকুক গ্রীন বন্ড’ নামে বাজারে একটি বন্ধ ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই বন্ড ছেড়ে আরো ২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সালমান এফ রহমান। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে তার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। বর্তমানে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় জেলে রয়েছেন দরবেশ খ্যাত ব্যবসায়ি সালমান এফ রহমান।