ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

মিয়ানমারে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৪১৯

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৯ জনে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির জান্তা সরকার। এখনো নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন।

এরআগে ৮৯ জনের নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছিল সরকার। তবে হতাহতের নতুন সংখ্যা প্রকাশের সময় এবিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি তারা।

জাতিসংঘের তথ্য মতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে মিয়ানমারের অন্তত ৮ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা মিয়ানমারকে ১২ লাখ ইউরো ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।

এ বছর এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্যোগ মনে করা হচ্ছে ইয়াগিকে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভিয়েতনাম, লাওস, চীন, ও ফিলিপাইনের পর মিয়ানমারে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এই টাইফুন। এর প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে দেখা দেয় বন্যা ও ভূমিধস।

টাইফুনের আঘাতে ভিয়েতনামে প্রাণ গেছে প্রায় ৩০০ জনের। এখনও নিখোঁজ অনেকে। এ ছাড়া ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে ২ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমির ফসল।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা (ওসিএইচএ) জানায়, ইয়াগির কারণে মিয়ানমারে প্রায় ৮ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। টাইফুনের কারণে বাড়িঘর, স্কুল, গৃহস্থালি সম্পদ, পানির উৎস ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনার সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে আগে থেকে নানা সমস্যায় ধুঁকতে থাকা মিয়ানমারের দুর্দশা আরও বেড়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। এতে করে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এমন পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জান্তা সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৪১৯

আপডেট সময় : ১২:০৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৯ জনে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির জান্তা সরকার। এখনো নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন।

এরআগে ৮৯ জনের নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছিল সরকার। তবে হতাহতের নতুন সংখ্যা প্রকাশের সময় এবিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি তারা।

জাতিসংঘের তথ্য মতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে মিয়ানমারের অন্তত ৮ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা মিয়ানমারকে ১২ লাখ ইউরো ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।

এ বছর এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্যোগ মনে করা হচ্ছে ইয়াগিকে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভিয়েতনাম, লাওস, চীন, ও ফিলিপাইনের পর মিয়ানমারে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এই টাইফুন। এর প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে দেখা দেয় বন্যা ও ভূমিধস।

টাইফুনের আঘাতে ভিয়েতনামে প্রাণ গেছে প্রায় ৩০০ জনের। এখনও নিখোঁজ অনেকে। এ ছাড়া ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে ২ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমির ফসল।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা (ওসিএইচএ) জানায়, ইয়াগির কারণে মিয়ানমারে প্রায় ৮ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। টাইফুনের কারণে বাড়িঘর, স্কুল, গৃহস্থালি সম্পদ, পানির উৎস ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনার সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে আগে থেকে নানা সমস্যায় ধুঁকতে থাকা মিয়ানমারের দুর্দশা আরও বেড়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। এতে করে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এমন পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জান্তা সরকার।