ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘দুর্নীতিবাজরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বহাল তবিয়তে বিচরণ করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৭ বছরের দুর্নীতিবাজরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বত্র এখনও বহাল তবিয়তে বিচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক ফার্মাসিস্ট সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মানুষের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করা তাদের দায়িত্ব। দ্রুত তা বাস্তবায়ন না করলে জনগণ আবারও ফুঁসে উঠতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা কারো সাথে কথা বলতে চান না, মনে করেন- স্বাস্থ্যের বিষয়ে আপনারাই ভালো বোঝেন। আসলে আপনারা স্বাস্থ্যের কিছুই বোঝেন না। স্বাস্থ্য একটি টেকনিক্যাল বিষয়, এজন্য স্বাস্থ্যের ডিজির পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চালাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মন্ত্রণালয় তার ইচ্ছেমতো স্বাস্থ্য প্রশাসন চালাতে পারে না।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্যের সবকিছুই টেকনিক্যাল লোকদের দিয়ে করা হয়। কিন্তু আমরা দেখছি এই জায়গাগুলোতে এখন নন-টেকনিক্যাল লোকদের বসিয়ে রাখা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার হলো বৈষম্যবিরোধী সাধারণ জনগণের আন্দোলনের ফসল। তাই সরকারের উচিত জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো এখনো স্বাস্থ্যখাত থেকে বৈষম্য বিতাড়িত করা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে পরনির্ভরশীলতা কমাতে হলে দেশের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে। আর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে কোয়ালিটি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং কোয়ালিটি ফার্মাসিস্ট তৈরি করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা একটা সমন্বিত কার্যক্রম। গুণগত সেবা দিতে চাইলে নার্স, টেকনোলোজিস্ট যেমন দরকার, ফার্মাসিস্টও দরকার। সবার নেতৃত্বে থাকবেন চিকিৎসকরা।

অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন আরও বলেন, গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় ফার্মাসিস্ট সেক্টর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সেক্টরে গুণগত মানোন্নয়ন করতে হবে। একটা সময় দেশে প্রাইভেট সেক্টরে উচ্চশিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। ২০০২ সালে বেগম খালেদা জিয়ার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাইভেট সেক্টর থেকেও অসংখ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স বের হয়ে আসছেন।

ফার্মাসিস্ট সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মেডিকেল টোকনোলজিস্ট অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এম-ট্যাব) সভাপতি একেএম মুসা লিটন, মহাসচিব মো. বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব।

ফার্মাসিস্ট সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক নাছির আহমেদ রতন।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘দুর্নীতিবাজরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বহাল তবিয়তে বিচরণ করছে’

আপডেট সময় : ০৭:০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১৭ বছরের দুর্নীতিবাজরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বত্র এখনও বহাল তবিয়তে বিচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক ফার্মাসিস্ট সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মানুষের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করা তাদের দায়িত্ব। দ্রুত তা বাস্তবায়ন না করলে জনগণ আবারও ফুঁসে উঠতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা কারো সাথে কথা বলতে চান না, মনে করেন- স্বাস্থ্যের বিষয়ে আপনারাই ভালো বোঝেন। আসলে আপনারা স্বাস্থ্যের কিছুই বোঝেন না। স্বাস্থ্য একটি টেকনিক্যাল বিষয়, এজন্য স্বাস্থ্যের ডিজির পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চালাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মন্ত্রণালয় তার ইচ্ছেমতো স্বাস্থ্য প্রশাসন চালাতে পারে না।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্যের সবকিছুই টেকনিক্যাল লোকদের দিয়ে করা হয়। কিন্তু আমরা দেখছি এই জায়গাগুলোতে এখন নন-টেকনিক্যাল লোকদের বসিয়ে রাখা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার হলো বৈষম্যবিরোধী সাধারণ জনগণের আন্দোলনের ফসল। তাই সরকারের উচিত জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো এখনো স্বাস্থ্যখাত থেকে বৈষম্য বিতাড়িত করা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে পরনির্ভরশীলতা কমাতে হলে দেশের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে। আর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে কোয়ালিটি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং কোয়ালিটি ফার্মাসিস্ট তৈরি করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা একটা সমন্বিত কার্যক্রম। গুণগত সেবা দিতে চাইলে নার্স, টেকনোলোজিস্ট যেমন দরকার, ফার্মাসিস্টও দরকার। সবার নেতৃত্বে থাকবেন চিকিৎসকরা।

অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন আরও বলেন, গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় ফার্মাসিস্ট সেক্টর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সেক্টরে গুণগত মানোন্নয়ন করতে হবে। একটা সময় দেশে প্রাইভেট সেক্টরে উচ্চশিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। ২০০২ সালে বেগম খালেদা জিয়ার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাইভেট সেক্টর থেকেও অসংখ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স বের হয়ে আসছেন।

ফার্মাসিস্ট সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মেডিকেল টোকনোলজিস্ট অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এম-ট্যাব) সভাপতি একেএম মুসা লিটন, মহাসচিব মো. বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব।

ফার্মাসিস্ট সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক নাছির আহমেদ রতন।