ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আমেরিকার সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আমেরিকার সহায়তা চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। নিউইয়র্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে এ আহবান জানান তিনি। এসময় বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহায়তার আশ্বাস দেন ব্লিঙ্কেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এদিকে, আলাদা এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় আমেরিকার ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্ব চেয়েছেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে আমেরিকার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয় দুই পক্ষ। এসময় বাংলাদেশে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আগামী নির্বাচনে সব ধরনের সহয়তার আশ্বাস দেন ব্লিঙ্কেন। এসময় ডক্টর ইউনুস বাংলাদেশ থেকে বিগত বছর গুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে আমেরিকার সহযোগিতা চান।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থার মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রশ্নে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন গুতেরেস। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থনও প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, আইসিসি’র প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানের সঙ্গে বৈঠকে করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করার উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়।

ডক্টর ইউনূসের সঙ্গে এদিন সাক্ষাৎ করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন। বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হৌউঙবো’র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় বাংলাদেশে শ্রমনীতি, বিদেশি বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক শফের সঙ্গে সাক্ষাতে ড. ইউনূস কৃষি রূপান্তর, পানি ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি মোকাবেলা ও রাষ্ট্র সংস্কারে দেশটির সহায়তা কামনা করেন।

এদিন, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় আমেরিকার ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্ব চান তিনি। বহুমুখী সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান।

এছাড়া ম্যানহাটনের বাংলাদেশ হাউজে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আমেরিকার সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আমেরিকার সহায়তা চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। নিউইয়র্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে এ আহবান জানান তিনি। এসময় বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহায়তার আশ্বাস দেন ব্লিঙ্কেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এদিকে, আলাদা এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় আমেরিকার ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্ব চেয়েছেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে আমেরিকার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয় দুই পক্ষ। এসময় বাংলাদেশে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আগামী নির্বাচনে সব ধরনের সহয়তার আশ্বাস দেন ব্লিঙ্কেন। এসময় ডক্টর ইউনুস বাংলাদেশ থেকে বিগত বছর গুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে আমেরিকার সহযোগিতা চান।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থার মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রশ্নে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন গুতেরেস। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থনও প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, আইসিসি’র প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানের সঙ্গে বৈঠকে করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করার উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়।

ডক্টর ইউনূসের সঙ্গে এদিন সাক্ষাৎ করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন। বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হৌউঙবো’র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় বাংলাদেশে শ্রমনীতি, বিদেশি বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক শফের সঙ্গে সাক্ষাতে ড. ইউনূস কৃষি রূপান্তর, পানি ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি মোকাবেলা ও রাষ্ট্র সংস্কারে দেশটির সহায়তা কামনা করেন।

এদিন, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় আমেরিকার ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্ব চান তিনি। বহুমুখী সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান।

এছাড়া ম্যানহাটনের বাংলাদেশ হাউজে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।