০১:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে যা বললেন তথ্য উপদেষ্টা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৩ দেখেছেন

গণহত্যার অভিযোগে দেশজুড়ে একের পর এক দায়ের করা হয় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, প্রশাসন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের নামে মামলা। জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড জড়িতদের বিচার দাবি চেয়ে অভিযোগ করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। অনেকে আবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন।

এর মধ্যে ‘সারডা সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া গত ১৯ আগস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধে একটি রিট করেছিলেন।

কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট খারিজ করে দেন।

এদিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

সভায় গণহত্যায় কোনো বাহিনী বা দলের সম্পৃক্ততায় গুম, খুন যৌন নির্যাতনকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা ও জড়িত রাজনৈতিক দলকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করাসহ ৮টি সংশোধনীর প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক খালিদ মহিউদ্দীনের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজম ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। তার বিচার কার্যক্রম এখনও চলছে। দল হিসেবে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।

আওয়ামী লীগ কীভাবে নিষিদ্ধ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, সরকারের জায়গা থেকে আমরা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। এসব জাতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিষয়ে মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সব রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে বলেও তিনি বলেন।

যুদ্ধ ও সংঘাতে মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে যা বললেন তথ্য উপদেষ্টা

আপডেট : ০৭:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণহত্যার অভিযোগে দেশজুড়ে একের পর এক দায়ের করা হয় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, প্রশাসন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের নামে মামলা। জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড জড়িতদের বিচার দাবি চেয়ে অভিযোগ করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। অনেকে আবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন।

এর মধ্যে ‘সারডা সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া গত ১৯ আগস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধে একটি রিট করেছিলেন।

কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট খারিজ করে দেন।

এদিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

সভায় গণহত্যায় কোনো বাহিনী বা দলের সম্পৃক্ততায় গুম, খুন যৌন নির্যাতনকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা ও জড়িত রাজনৈতিক দলকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করাসহ ৮টি সংশোধনীর প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক খালিদ মহিউদ্দীনের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজম ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। তার বিচার কার্যক্রম এখনও চলছে। দল হিসেবে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।

আওয়ামী লীগ কীভাবে নিষিদ্ধ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, সরকারের জায়গা থেকে আমরা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। এসব জাতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিষয়ে মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সব রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে বলেও তিনি বলেন।