ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বর্তমান সরকারের ভেতরে সুবিধাবাদীরা ঢুকে গেছে : নুরুল হক নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান সরকারের ভেতরে সুবিধাবাদীরা ঢুকে গেছে, এই এনজিও মার্কা সরকার নিয়ে খুব বেশি দূর এগোনো সম্ভব না।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে পেশাজীবীদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ এক বছর আগে ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রোগ্রাম করেছিল, শিরোনাম ছিল বিচারিক হয়রানি ও ড. ইউনূস। তখন অনেক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আমরা এই কাজটি করেছি। আমাকে ১৯ জুলাই আটক করে কি পরিমাণ নির্যাতন করেছিল তা আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা জানেন। আমি আদালতেও বলেছিলাম এই ফ্যাসিবাদ টিকবে না। যার জন্য আমাকে আরও বেশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এক বছর আগে আমরা বলেছিলাম দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এখন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলছি সরকারকে জাতীয় সরকারের রূপ দিতে, অনেকেই ভাবতে পারেন আমি উপদেষ্টা হওয়ার জন্য বলছি। আমি এখানে ঘোষণা দিচ্ছি আমি এই সরকারের পার্ট হবো না। তবে সরকার চাইলে আমরা প্রস্তাব দিতে পারি। এই সরকারে যারা আছে তাদের কয়জন এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সরব ছিল? অথচ যারা রাজপথে ছিল তাদের মূল্যায়ন করা হয় নাই।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আন্দোলন একদিনে হয়নি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এর পটভূমি রচিত হয়েছে। ২০১৮ সালের আন্দোলন না হলে ২৪ সালে এই আন্দোলন হতো কি না সন্দেহ। এই আন্দোলনের সামনের সারির অনেকেই আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের ছিল, তাই বলে আমরা তো নিজেদের মাস্টারমাইন্ড দাবি করতে পারি না। এই আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহণ না থাকলে আন্দোলন সফল হতো না। এখন হুট করে নির্বাচন দিলেই বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। কারণ অনেকের অনেক ক্ষুধা রয়েছে।

নুর বলেন, ড. ইউনূস স্যারের আন্তর্জাতিক যে যোগাযোগ রয়েছে, যেভাবে বিশ্ব নেতারা তাকে সম্মান করেন, এটা আমাদের গর্ব। আমাদের ড. ইউনূসের ওপর আস্থা রয়েছে কিন্তু আশঙ্কা তার চারপাশের লোকদের নিয়ে। দেশের সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারত ষড়যন্ত্র করছে। পাহাড়িদের ভারত উসকানি দিচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সামনে দুর্গাপূজা আসছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সনাতন ধর্মের লোকেরা পূজা পালন করতে পারে। আশঙ্কা রয়েছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা হামলা করে বিশ্বকে দেখাতে পারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে।

দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কার আলাপের বাইরে রাখা বিরাজনীতিকরণের অংশ। শপথের ৫০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও কোনো কিছু সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টি হবে। এখন পর্যন্ত শেখ পরিবারের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, আওয়ামী হাইকমান্ডের কেউ আটক হচ্ছে না। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ দেখছি না। গণহত্যার নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তার না করে কীসের রাষ্ট্র সংস্কার? সেনাবাহিনীর হাতে ৬২৬ জন আশ্রয় নেওয়াদের নাম কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রকাশ করছে না? এই তালিকার কেউ পালিয়ে গেলে দায় সরকারকে নিতে হবে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। এবার রাষ্ট্র সংস্কার না হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। সুতরাং রাষ্ট্র সংস্কারের রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। আপনাদের পরিকল্পনা আমরা জানতে চাই। পরিকল্পনা ব্যতীত কোনো রাষ্ট্র চালানো যায় না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দীন বলেন, এখন সব জায়গায় বলা হচ্ছে একজন মাস্টারমাইন্ড আর সমন্বয়করা নাকি সব করেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর, জনগণের ভূমিকা অস্বীকার করা হচ্ছে। অথচ সবাই এ আন্দোলনে যুক্ত ছিল। এ সরকার এখনও কোনো সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। সরকার নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়াচ্ছে। প্রয়োজন হলে সংবিধান নতুন করে রচনা করেন। অহংকারীকে আল্লাহ পছন্দ করে না, শেখ হাসিনা তো অহংকার করেছিল, তার তো পতন হয়েছে। সেনাবাহিনীকে বলব নির্বাচনের দিকে মনোযোগ না দিয়ে পাহাড়ের দিকে মনোযোগ দিন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নির্মূল করার জন্য অপারেশন চালান। তবে কোনো নিরীহ মানুষের ওপর অন্যায় করবেন না।

বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান।

সভায় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লতিফ মাসুম, ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, সহ সভাপতি আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রেজওয়ান রূপ দীনেশ, গণমাধ্যম ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক জি এম রোকনুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কাউছার শেখ, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. শামসুল আলম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্তমান সরকারের ভেতরে সুবিধাবাদীরা ঢুকে গেছে : নুরুল হক নুর

আপডেট সময় : ১০:৫৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান সরকারের ভেতরে সুবিধাবাদীরা ঢুকে গেছে, এই এনজিও মার্কা সরকার নিয়ে খুব বেশি দূর এগোনো সম্ভব না।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে পেশাজীবীদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ এক বছর আগে ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রোগ্রাম করেছিল, শিরোনাম ছিল বিচারিক হয়রানি ও ড. ইউনূস। তখন অনেক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আমরা এই কাজটি করেছি। আমাকে ১৯ জুলাই আটক করে কি পরিমাণ নির্যাতন করেছিল তা আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা জানেন। আমি আদালতেও বলেছিলাম এই ফ্যাসিবাদ টিকবে না। যার জন্য আমাকে আরও বেশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এক বছর আগে আমরা বলেছিলাম দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এখন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলছি সরকারকে জাতীয় সরকারের রূপ দিতে, অনেকেই ভাবতে পারেন আমি উপদেষ্টা হওয়ার জন্য বলছি। আমি এখানে ঘোষণা দিচ্ছি আমি এই সরকারের পার্ট হবো না। তবে সরকার চাইলে আমরা প্রস্তাব দিতে পারি। এই সরকারে যারা আছে তাদের কয়জন এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সরব ছিল? অথচ যারা রাজপথে ছিল তাদের মূল্যায়ন করা হয় নাই।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আন্দোলন একদিনে হয়নি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এর পটভূমি রচিত হয়েছে। ২০১৮ সালের আন্দোলন না হলে ২৪ সালে এই আন্দোলন হতো কি না সন্দেহ। এই আন্দোলনের সামনের সারির অনেকেই আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের ছিল, তাই বলে আমরা তো নিজেদের মাস্টারমাইন্ড দাবি করতে পারি না। এই আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহণ না থাকলে আন্দোলন সফল হতো না। এখন হুট করে নির্বাচন দিলেই বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। কারণ অনেকের অনেক ক্ষুধা রয়েছে।

নুর বলেন, ড. ইউনূস স্যারের আন্তর্জাতিক যে যোগাযোগ রয়েছে, যেভাবে বিশ্ব নেতারা তাকে সম্মান করেন, এটা আমাদের গর্ব। আমাদের ড. ইউনূসের ওপর আস্থা রয়েছে কিন্তু আশঙ্কা তার চারপাশের লোকদের নিয়ে। দেশের সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারত ষড়যন্ত্র করছে। পাহাড়িদের ভারত উসকানি দিচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সামনে দুর্গাপূজা আসছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সনাতন ধর্মের লোকেরা পূজা পালন করতে পারে। আশঙ্কা রয়েছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা হামলা করে বিশ্বকে দেখাতে পারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে।

দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কার আলাপের বাইরে রাখা বিরাজনীতিকরণের অংশ। শপথের ৫০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও কোনো কিছু সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টি হবে। এখন পর্যন্ত শেখ পরিবারের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, আওয়ামী হাইকমান্ডের কেউ আটক হচ্ছে না। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ দেখছি না। গণহত্যার নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তার না করে কীসের রাষ্ট্র সংস্কার? সেনাবাহিনীর হাতে ৬২৬ জন আশ্রয় নেওয়াদের নাম কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রকাশ করছে না? এই তালিকার কেউ পালিয়ে গেলে দায় সরকারকে নিতে হবে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। এবার রাষ্ট্র সংস্কার না হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। সুতরাং রাষ্ট্র সংস্কারের রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। আপনাদের পরিকল্পনা আমরা জানতে চাই। পরিকল্পনা ব্যতীত কোনো রাষ্ট্র চালানো যায় না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দীন বলেন, এখন সব জায়গায় বলা হচ্ছে একজন মাস্টারমাইন্ড আর সমন্বয়করা নাকি সব করেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর, জনগণের ভূমিকা অস্বীকার করা হচ্ছে। অথচ সবাই এ আন্দোলনে যুক্ত ছিল। এ সরকার এখনও কোনো সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। সরকার নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়াচ্ছে। প্রয়োজন হলে সংবিধান নতুন করে রচনা করেন। অহংকারীকে আল্লাহ পছন্দ করে না, শেখ হাসিনা তো অহংকার করেছিল, তার তো পতন হয়েছে। সেনাবাহিনীকে বলব নির্বাচনের দিকে মনোযোগ না দিয়ে পাহাড়ের দিকে মনোযোগ দিন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নির্মূল করার জন্য অপারেশন চালান। তবে কোনো নিরীহ মানুষের ওপর অন্যায় করবেন না।

বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান।

সভায় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লতিফ মাসুম, ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, সহ সভাপতি আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রেজওয়ান রূপ দীনেশ, গণমাধ্যম ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক জি এম রোকনুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কাউছার শেখ, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. শামসুল আলম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম প্রমুখ।