০৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে নিহত ৪৩

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে তীব্র আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় হেলেন। এতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এছাড়া ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। খবর বিবিসির।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে হেলেন। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল।

খবরে বলা হয়, বিধ্বংসী গতির এ ঝড়ের কারণে বিগ বেন্ড ও আশপাশের এলাকার অজস্র গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট। আটলান্টিক মহাসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর।

বিগ বেন্ডে আছড়ে পড়ার পর জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার দিকে এগোতে হতে থাকে হেলেন। এ সময় কমতে থাকে ঝড়ের গতিবেগও। শুক্রবার বিকেলের দিকে সাধারণ মৌসুমি ঝড়ে পরিণত হয় হেলেন।

হেলেনের প্রভাবে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা এবং দক্ষিণ ক্যারোলাইনার অধিকাংশ এলাকায় প্রবল বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, হেলেন আঘাতে তার অঙ্গরাজ্যে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার অঙ্গরাজ্যে নিহত হয়েছেন ১৫ জন। নিহতদের মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের একজন উদ্ধারকর্মীও রয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ক্যারোলাইনায়। হেলেনের আঘাতে রাজ্যজুড়ে ১৭ জন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য উত্তর ক্যারোলাইনায় নিহত হয়েছেন আরও ২ জন।

বন্যা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জর্জিয়ার ১৫০টিরও বেশি সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি অবস্থায় বিভিন্ন শহরের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোতে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে মার্কিন সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ড শাখার ১ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রায়ান কেম্প।

উল্লেখ্য, এই হারিকেনটি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা ১৪তম সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। এর আগে ২০১৭ সালে আঘাত হানা আইডা এবং ১৯৯৬ সালে আঘাত হানা ওপাল, উভয় ঝড়ের প্রস্থ ছিল ৪৬০ মাইল।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে নিহত ৪৩

আপডেট : ১২:১৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে তীব্র আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় হেলেন। এতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এছাড়া ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। খবর বিবিসির।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে হেলেন। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল।

খবরে বলা হয়, বিধ্বংসী গতির এ ঝড়ের কারণে বিগ বেন্ড ও আশপাশের এলাকার অজস্র গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট। আটলান্টিক মহাসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর।

বিগ বেন্ডে আছড়ে পড়ার পর জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার দিকে এগোতে হতে থাকে হেলেন। এ সময় কমতে থাকে ঝড়ের গতিবেগও। শুক্রবার বিকেলের দিকে সাধারণ মৌসুমি ঝড়ে পরিণত হয় হেলেন।

হেলেনের প্রভাবে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা এবং দক্ষিণ ক্যারোলাইনার অধিকাংশ এলাকায় প্রবল বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, হেলেন আঘাতে তার অঙ্গরাজ্যে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার অঙ্গরাজ্যে নিহত হয়েছেন ১৫ জন। নিহতদের মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের একজন উদ্ধারকর্মীও রয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ক্যারোলাইনায়। হেলেনের আঘাতে রাজ্যজুড়ে ১৭ জন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য উত্তর ক্যারোলাইনায় নিহত হয়েছেন আরও ২ জন।

বন্যা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জর্জিয়ার ১৫০টিরও বেশি সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি অবস্থায় বিভিন্ন শহরের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোতে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে মার্কিন সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ড শাখার ১ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রায়ান কেম্প।

উল্লেখ্য, এই হারিকেনটি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা ১৪তম সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। এর আগে ২০১৭ সালে আঘাত হানা আইডা এবং ১৯৯৬ সালে আঘাত হানা ওপাল, উভয় ঝড়ের প্রস্থ ছিল ৪৬০ মাইল।