২২ বছর বয়সী ইংলিশ মিডফিল্ডার পালমারের নাম রেকর্ড বইয়ে
- আপডেট সময় : ১২:৫৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
ঘরের মাঠে ম্যাচ, কিন্তু ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ব্রাইটনের বিপক্ষে গোল খেয়ে বসে চেলসি। এমনকি বল দখলের লড়াইয়েও পিছিয়ে ছিল এনসো মারেসকার দল। তবে চেলসির ত্রাণকর্তা রূপে হাজির হন কোল পালমার। একে একে গোল করেন চারটি। সেটাও মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে। তাতে ২২ বছর বয়সী এ ইংলিশ মিডফিল্ডারের নাম উঠে যায় রেকর্ড বইয়ে। চেলসিও ম্যাচটা জিতে যায় ৪-২ ব্যবধানে।
পালমারের নামের পাশে গোলের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত। ম্যাচের ১৯ মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডারের একটি শট পোস্টে লাগে। পরের মিনিটে পালমারের একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডে। এর পরের মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা পান পালমার।
২১ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের পাস থেকে বল পেয়ে চেলসিকে সমতায় ফেরান ইংলিশ তারকা। ২৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল আদায় করেন পালমার। এর ৩ মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ফ্রি কিকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। চেলসি এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে।
৩৪ মিনিটে ব্রাইটন একটি গোল ফিরিয়ে দিলেও (৩-২) এর সাত মিনিট পর স্কোরলাইন ৪-২ করেন পালমার। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে আর কোনো গোল না হলেও পালমারের কীর্তিতে বড় জয় পায় চেলসি। তবে চার গোল করেও সন্তুষ্ট নন ইংলিশ তারকা। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, গোল আরও বেশি হতে পারত।
গতকাল পালমারের নামের পাশে অনেকগুলো কীর্তি যোগ হয়েছে। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে একই ম্যাচের প্রথমার্ধে ৪ গোল করা প্রথম খেলোয়াড় হলেন পালমার। হ্যাটট্রিক করতে পালমার সময় নিয়েছেন ৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড। যা চেলসি খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড।
১৯ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে চারবার গোল উৎসব করেছেন পালমার। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে এর চেয়ে দ্রুততম সময়ে ৪ গোলের কীর্তি আছে শুধু টটেনহাম স্ট্রাইকার জার্মেই ডেফোইর। গতকালের হ্যাটট্রিকটি ছিল চেলসির জার্সিতে পালমারের তৃতীয় হ্যাটট্রিক। ব্লুদের হয়ে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড।
গত মৌসুমে চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১০টি পেনাল্টি নিয়ে সবগুলোতে গোল করেছেন পালমার। নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে টানা পেনাল্টি গোলের রেকর্ডে যা তৃতীয়। এর আগে হ্যাসেলবেইঙ্ক টানা ১২টি ও ইয়াইয়া তোরে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর টানা ১১ পেনাল্টিতে গোল করেছিলেন।
২০২৩-২৪ মৌসুমে চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগে ৪৩ গোলে সরাসরি অবদান (২৮ গোল, ১৫ অ্যাসিস্ট) রেখেছেন পালমার, যা লিগে এ সময়ে সর্বোচ্চ। প্রিমিয়ার লিগের মাত্র নবম খেলোয়াড় হিসেবে দুই বা ততোধিক ম্যাচে চার গোলের কীর্তি গড়েছেন পালমার।
এতসব কীর্তির পরেও সন্তুষ্ট নন ইংলিশ তারকা। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যম বিসিবিকে পালমার বলেছেন, ‘প্রথম সুযোগটা মিস করার পর খুব মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু তারা যেভাবে খেলছিল এবং ওদের হাইলাইন ডিফেন্স দেখে বুঝেছিলাম, আরও সুযোগ পাব। আমার ৫ বা ৬টি গোল করা উচিত ছিল।’
পালমারের কীর্তির দিনে একই ব্যবধানের (৪-২) জয় পেয়েছে আর্সেনালও। তবে লেস্টার সিটির বিপক্ষে জয়টা সহজ ছিল না মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের। প্রথমার্ধে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও লিয়ান্দ্রো ত্রোসারের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু বিরতির পর ৪৭ ও ৬৩ মিনিটে দুটি গোল ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে (২-২) তোলে লেস্টার সিটি।
নির্ধারিত সময় শেষেও স্কোরলাইন একই থাকলে ম্যাচের ভাগ্য ড্র বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে লেস্টার মিডফিল্ডারে উইলফ্রেদ এনদিদির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-২ করেন কাই হাভার্টস।
এ জয়ে ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে আছে আর্সেনাল। দুইয়ে থাকা সিটির পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে পেপ গার্দিওলার দল। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে তালিকার শীর্ষে লিভারপুল। ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে চেলসি।