ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আইন ও রাজনীতির অঙ্গনে সংবিধান সংস্কার নিয়ে মতপার্থক্য

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গেলো ৫২ বছরে ১৭ বার সংশোধন হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধান। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবার সংবিধান সংস্কারের দাবি উঠেছে। তবে সংবিধান সংশোধন নাকি পুনর্লিখন এনিয়ে আলোচনা চলছে। এরইমধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সরকারের স্বার্থে সংবিধানে যেসব সংশোধন হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করতে হবে।

বাংলাদেশের সংবিধানের বয়স প্রায় ৫২ বছর। ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ বার নানা কারণ দেখিয়ে সংবিধান কাঁটছাঁট করেছে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলো।

গেলো ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের দায়িত্ব নিয়ে ডক্টর ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রথমে সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিককে করা হলেও পরে পরিবর্তন করে অধ্যাপক আলী রিয়াজকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

কিন্তু এবার সংবিধান কিভাবে সংস্কার হবে? সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বীর আহমেদ বলছেন কয়েকটি বিষয়ে সংশোধন আনাই সংস্কার।

জুলাই বিপ্লবের চেতনায় নতুন করে সংবিধান লেখার পরামর্শও দিচ্ছেন ত্বাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার।

তবে সংবিধান সংশোধন করা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদ সদস্যদের দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেয়ার ক্ষমতা দেয়র পরামর্শ তাদের।

ভবিষৎতে সংবিধান সংস্কার নিয়ে বিতর্ক এড়াতে সব পক্ষের মতামত নেয়ার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকরা।

পহেলা অক্টোবরে কাজ শুরু করে ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইন ও রাজনীতির অঙ্গনে সংবিধান সংস্কার নিয়ে মতপার্থক্য

আপডেট সময় : ০৪:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গেলো ৫২ বছরে ১৭ বার সংশোধন হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধান। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবার সংবিধান সংস্কারের দাবি উঠেছে। তবে সংবিধান সংশোধন নাকি পুনর্লিখন এনিয়ে আলোচনা চলছে। এরইমধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সরকারের স্বার্থে সংবিধানে যেসব সংশোধন হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করতে হবে।

বাংলাদেশের সংবিধানের বয়স প্রায় ৫২ বছর। ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ বার নানা কারণ দেখিয়ে সংবিধান কাঁটছাঁট করেছে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলো।

গেলো ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের দায়িত্ব নিয়ে ডক্টর ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রথমে সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিককে করা হলেও পরে পরিবর্তন করে অধ্যাপক আলী রিয়াজকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

কিন্তু এবার সংবিধান কিভাবে সংস্কার হবে? সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বীর আহমেদ বলছেন কয়েকটি বিষয়ে সংশোধন আনাই সংস্কার।

জুলাই বিপ্লবের চেতনায় নতুন করে সংবিধান লেখার পরামর্শও দিচ্ছেন ত্বাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার।

তবে সংবিধান সংশোধন করা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদ সদস্যদের দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেয়ার ক্ষমতা দেয়র পরামর্শ তাদের।

ভবিষৎতে সংবিধান সংস্কার নিয়ে বিতর্ক এড়াতে সব পক্ষের মতামত নেয়ার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকরা।

পহেলা অক্টোবরে কাজ শুরু করে ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।