ইসরায়েলের টার্গেট কিলিং, নাড়িয়ে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য
- আপডেট সময় : ০১:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
লেবাননে হামলা চালিয়ে দেশটির সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। দেশটির এ ধরনের হত্যাকাণ্ড এ প্রথম নয়। কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনও গুপ্তহত্যার মাধ্যমে শত্রুদের ঘায়েল করার কুখ্যাতি রয়েছে ইসরায়েলের।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। ওই দিন ইসরায়েল থেকে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় হামাস। এরপর থেকে চলা গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর পাশাপাশি যুদ্ধে জয় পেতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও তাদের পক্ষ নেওয়া দেশ এবং সংগঠনের নেতাদের বেছে বেছে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী । তবে তাদের এ নৃশংসতার ইতিহাস বেশ লম্বা। চলুন জেনে নিই গত ২০ বছরে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের চালানো টার্গেট কিলিংয়ের আদ্যপান্ত-
২০০৪ সালের ২২ মার্চ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন হামাসের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন।
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইমাদ মুগনিয়াহকে ২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি হত্যা করে ইসরায়েল। তিনি ইসরায়েল ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন। তাঁকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয় ৷ ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুগনিয়াহ নিখোঁজ ছিলেন।
২০১০ সালে হামাসের সামরিক কমান্ডার মাহমুদ আল মাভুহকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি হোটেলে হত্যা করে ইসরায়েল।
হামাসের সামরিক শাখারপ্রধান আহমাদ জাবারিকে ২০১২ সালে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আট দিনের যুদ্ধ শুরু হয়।
২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ইরানের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যা করে ইসরায়েল। তেহরান থেকে ৪০ মাইল পূর্বে অবস্থিত একটি এলাকার রাস্তার পাশেই ফাখরিজাদেহকে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলি গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেহ করে আসছিল ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জনক ছিলেন ফাখরিজাদেহ।
চলতি বছরের শুরুতে লেবাননে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা নিহত হন হামাসের উপ-প্রধান সালেহ আল-আরৌরি। আরৌরি হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের গিয়ে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এ বছরের জুলাই মাসে নিহত হন হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া। এর কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শোকরকে হত্যা করে।
এরপর গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল হত্যা করে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মাদ দেইফকে।
চলতি মাসে ইসরায়েল পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবারও একবার বিশ্বকে হতবাক করে দেয় ৷ এই দুই ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় তিন হাজার।
সবশেষ ইসরায়েল বৈরুতে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। তাঁকে হত্যার জন্য লেবাননের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলার অন্তত ছয় জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হন ৷
গত মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিটির সদস্য আহমাদ বখশায়েশ আরদেস্তানির ধারণা, ইব্রাহিম রাইসিকর হেলিকপ্টারে পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। সূত্র: সিবিএস নিউজ