০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপালে বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১৭০

নেপালে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজ ৪২ জন। এছাড়া প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্কুলগুলো।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার কারণে কাঠমান্ডুতে স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। রাজধানীতেই ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কোশি প্রদেশে ১৬ জন, বাগমতি প্রদেশে ১০২ জন ও মাধেশ প্রদেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণহানির পাশাপাশি অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৩,২৯৯ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ১৪টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল ভবনগুলো মেরামত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃৃপক্ষ। ফলে স্কুল বন্ধের এই সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে। নেপালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লক্ষ্মী ভট্টরাই বলেছেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্কুল তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছি।”

পানিবিদ্যা ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনস্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিভাগ আবহাওয়া ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং দুর্যোগের ঝুঁকির বিষয়ে নেপালের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আগে থেকেই সতর্ক করেছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এরপরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা বিভূতি পোখারেল বলেছেন, “আমরা জনসাধারণ এবং এজেন্সিগুলোকে উদ্বেগজনক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছি এবং পরিবর্তনশীল আবহাওয়া ব্যবস্থার বিষয়ে সময়মত আপডেট দিয়েছি। তবে মনে হচ্ছে, আমাদের বার্তা সেইসব শ্রোতাদের কাছে পৌঁছায়নি যাদের এই বার্তার দরকার ছিল।”

নেপালে বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১৭০

আপডেট : ০২:১১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নেপালে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজ ৪২ জন। এছাড়া প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্কুলগুলো।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার কারণে কাঠমান্ডুতে স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। রাজধানীতেই ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কোশি প্রদেশে ১৬ জন, বাগমতি প্রদেশে ১০২ জন ও মাধেশ প্রদেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণহানির পাশাপাশি অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৩,২৯৯ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ১৪টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল ভবনগুলো মেরামত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃৃপক্ষ। ফলে স্কুল বন্ধের এই সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে। নেপালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লক্ষ্মী ভট্টরাই বলেছেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্কুল তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছি।”

পানিবিদ্যা ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনস্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিভাগ আবহাওয়া ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং দুর্যোগের ঝুঁকির বিষয়ে নেপালের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আগে থেকেই সতর্ক করেছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এরপরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা বিভূতি পোখারেল বলেছেন, “আমরা জনসাধারণ এবং এজেন্সিগুলোকে উদ্বেগজনক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছি এবং পরিবর্তনশীল আবহাওয়া ব্যবস্থার বিষয়ে সময়মত আপডেট দিয়েছি। তবে মনে হচ্ছে, আমাদের বার্তা সেইসব শ্রোতাদের কাছে পৌঁছায়নি যাদের এই বার্তার দরকার ছিল।”