সেতুর অভাবে দুর্ভোগে জামালপুরের চার উপজেলার মানুষ
- আপডেট সময় : ০২:৩৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
জামালপুরে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে রয়েছে চার উপজেলার দুই লাখের বেশি মানুষ। নৌকা দিয়ে যাতায়াত করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও নীরব প্রশাসন। তবে এলজিইডি বলছে, যাতায়াত সহজ করতে সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত ঝিনাই নদী। যেখানে জামালপুর সদর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার শেষ সীমানায় শেষ ভরসা এই নৌকা। তাই ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল স্থানীয়দের।
বর্ষা মৌসুমে দুর্ঘটনার পাশাপাশি শুকনো মৌসুমেও ভোগান্তি পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। এতে দীর্ঘ দিন দুর্ভোগে রয়েছে দুই লাখেরও বেশি মানুষ। নদীর এই জায়গাটিতে যুগের পর যুগ একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে এলেও সুফল পায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘রসুন, কাঁচামরিচ থেকে শুরু করে যেসকল খাদ্যপণ্য উৎপাদিত হয় এসবের বেশিরভাগই কাঁচামাল। এসব কাঁচামাল জামালপুর শহরে নিয়ে যেতে হলে বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যায়।’
আরেকজন জানান, ‘এসব উপজেলায় ভালো ফসল উৎপাদিত হলেও ব্রিজ ও রাস্তার কারণে ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারে না, তাই ভালো দামও পায় না।’
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দা উপকৃত হবে যদি এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
এই নৌঘাট হয়ে কৃষিপণ্য ও একটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। তবে সব থেকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ‘ব্রিজ না থাকার কারণে প্রত্যেকদিন দরিদ্র ঘরের সন্তান হওয়া স্বত্ত্বেও ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘তিনমাস বন্যা থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। তাদের পড়ালেখা বন্ধ থাকে।’
এলজিইডি বলছে, ইতিমধ্যে একটি সেতুর জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আর সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি উজ্জ্বল ত্রিপুরা জানান, ‘জামালপুরের ৪টি উপজেলার সংযোগস্থল জামালপুর সদর। সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ এখানে একটি ব্রিজ প্রাণের দাবি। দাবিটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবো।’
সেতুটি নির্মাণ হলে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি উন্নত হবে এই অঞ্চলের কৃষিখাত ও ব্যবসা বাণিজ্য। বদলে যাবে জীবনযাত্রার মান।