ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডিসেম্বরে আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ে ইতিবাচক সাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৪৭০ কোটি ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। আজ (সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করে সংস্থাটি। সবশেষ বৈঠকে আগামী ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেড়ে গেলে চাপ পড়ে রিজার্ভে। আর এই ঘাটতি মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ৪০ বিলিয়নের বেশি থাকা রিজার্ভ কমে নেমে আসে ২০ বিলিয়নের নিচে।

এমন পরিস্থিতিতে গত বছর ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের বাংলাদেশ একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে। এরপর তিন ধাপে এখন পর্যন্ত ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করে আইএমএফ। আর চতুর্থ কিস্তি আগামী ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা রয়েছে।

ঋণ দেয়ার আগে ১২টি শর্ত দেয় আইএমএফ। যা পূরণের প্রতিশ্রুতিও দেয় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে শর্ত পূরণে আর্থিক, জ্বালানি ও রাজস্ব খাতে কিছু সংস্কার করা হয় এবং বাকিগুলো এখনও চলমান রয়েছে। সেই সাথে সময়ে সময়ে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েও সহযোগিতা করে আসছে সংস্থাটি।

তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যখন অর্থনীতির দুরবস্থার আসল অবস্থা বের হয়ে আসে, তখন এই কিস্তি পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি করে‌। আর তখনি আর্থিক খাতের পুনরুদ্ধারে সংস্কার অব্যাহত রেখে আইএমএফের কাছ অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলার চাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। সেই সাথে বন্ধ করা হয় রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি।

ঠিক এমন সময়ই নিয়ম অনুযায়ী চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। ধারাবাহিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করে সংস্থাটি। এসময় অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তখন বোর্ডে জানানোর পর অন্যান্য দাতা সংস্থাদের সহায়তা দেখে কত ডলার দেয়া হবে সে বিষয়ে জানানোর কথা বলা হয়।

চলতি সফরে সবশেষ দিন, আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকে বসে আইএমএফ। প্রথমে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পরে অর্থ সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সাথে আলোচনা করে তারা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থার কথা জানায় অর্থ উপদেষ্টা।

২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে আইএমএফের ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। আর যদি অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন পাওয়া গেলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৭০ কোটি ডলার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিসেম্বরে আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ে ইতিবাচক সাড়া

আপডেট সময় : ১১:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৪৭০ কোটি ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। আজ (সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করে সংস্থাটি। সবশেষ বৈঠকে আগামী ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেড়ে গেলে চাপ পড়ে রিজার্ভে। আর এই ঘাটতি মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ৪০ বিলিয়নের বেশি থাকা রিজার্ভ কমে নেমে আসে ২০ বিলিয়নের নিচে।

এমন পরিস্থিতিতে গত বছর ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের বাংলাদেশ একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে। এরপর তিন ধাপে এখন পর্যন্ত ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করে আইএমএফ। আর চতুর্থ কিস্তি আগামী ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা রয়েছে।

ঋণ দেয়ার আগে ১২টি শর্ত দেয় আইএমএফ। যা পূরণের প্রতিশ্রুতিও দেয় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে শর্ত পূরণে আর্থিক, জ্বালানি ও রাজস্ব খাতে কিছু সংস্কার করা হয় এবং বাকিগুলো এখনও চলমান রয়েছে। সেই সাথে সময়ে সময়ে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েও সহযোগিতা করে আসছে সংস্থাটি।

তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যখন অর্থনীতির দুরবস্থার আসল অবস্থা বের হয়ে আসে, তখন এই কিস্তি পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি করে‌। আর তখনি আর্থিক খাতের পুনরুদ্ধারে সংস্কার অব্যাহত রেখে আইএমএফের কাছ অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলার চাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। সেই সাথে বন্ধ করা হয় রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি।

ঠিক এমন সময়ই নিয়ম অনুযায়ী চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। ধারাবাহিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করে সংস্থাটি। এসময় অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তখন বোর্ডে জানানোর পর অন্যান্য দাতা সংস্থাদের সহায়তা দেখে কত ডলার দেয়া হবে সে বিষয়ে জানানোর কথা বলা হয়।

চলতি সফরে সবশেষ দিন, আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকে বসে আইএমএফ। প্রথমে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পরে অর্থ সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সাথে আলোচনা করে তারা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থার কথা জানায় অর্থ উপদেষ্টা।

২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে আইএমএফের ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। আর যদি অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন পাওয়া গেলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৭০ কোটি ডলার।