০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানকে সরাসরি হুমকি দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের ওপর হামলা চালালে ইরানকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে এই সতর্কবার্তা দেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার মতো হামলা ঠেকাতে লেবানন সীমান্ত বরাবর হিজবুল্লাহর আক্রমণাত্মক অবকাঠামো ধ্বংস করতে ইসরায়েল যে অভিযান শুরু করেছে তাতে সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এর জন্য গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

লয়েড অস্টিন বলেন, আমি পুনরায় উল্লেখ করেছি, ইরান যদি সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এর জন্য ইরানকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরান ও ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠনের হুমকির মুখে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা, অংশীদার ও মিত্রদের রক্ষা করার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে।

মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননের গ্রামে গ্রামে টার্গেটভিত্তিক স্থল অভিযান শুরু করার কথা জানায় ইসরায়েল। ফলে এতদিন ধরে লেবাননে ইসরায়েল স্থল অভিযানে নামতে পারে যে আশঙ্কা ছিল, তা অবশেষে সত্য প্রমাণিত হলো।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সীমান্তের নিকটবর্তী লেবাননের গ্রামগুলোতে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে কয়েক ঘণ্টা আগে স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। স্থল অভিযানের সহায়তায় রয়েছে বিমান ও গোলা হামলা। তবে এই অভিযান হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সীমিত, স্থানীয় ও টার্গেটভিত্তিক।

গত দুই সপ্তাহ ধরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা।

গত শুক্রবার বৈরুতে এক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন। তার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও হিজবুল্লাহ। নাসরাল্লাহকে মারার পর আরও আত্মবিশ্বাসী ইসরায়েল এখন লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করলো। এর জেরে দুপক্ষের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল হলো। এতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতি হতে পারে।

ইরানকে সরাসরি হুমকি দিলো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ০১:১৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

ইসরায়েলের ওপর হামলা চালালে ইরানকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে এই সতর্কবার্তা দেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার মতো হামলা ঠেকাতে লেবানন সীমান্ত বরাবর হিজবুল্লাহর আক্রমণাত্মক অবকাঠামো ধ্বংস করতে ইসরায়েল যে অভিযান শুরু করেছে তাতে সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এর জন্য গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

লয়েড অস্টিন বলেন, আমি পুনরায় উল্লেখ করেছি, ইরান যদি সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এর জন্য ইরানকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরান ও ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠনের হুমকির মুখে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা, অংশীদার ও মিত্রদের রক্ষা করার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে।

মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননের গ্রামে গ্রামে টার্গেটভিত্তিক স্থল অভিযান শুরু করার কথা জানায় ইসরায়েল। ফলে এতদিন ধরে লেবাননে ইসরায়েল স্থল অভিযানে নামতে পারে যে আশঙ্কা ছিল, তা অবশেষে সত্য প্রমাণিত হলো।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সীমান্তের নিকটবর্তী লেবাননের গ্রামগুলোতে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে কয়েক ঘণ্টা আগে স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। স্থল অভিযানের সহায়তায় রয়েছে বিমান ও গোলা হামলা। তবে এই অভিযান হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সীমিত, স্থানীয় ও টার্গেটভিত্তিক।

গত দুই সপ্তাহ ধরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা।

গত শুক্রবার বৈরুতে এক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন। তার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও হিজবুল্লাহ। নাসরাল্লাহকে মারার পর আরও আত্মবিশ্বাসী ইসরায়েল এখন লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করলো। এর জেরে দুপক্ষের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল হলো। এতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতি হতে পারে।