০৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর স্থল অভিযান শুরু

অবশেষে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলাটি সীমিত ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে চালানো হচ্ছে বলে জানায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

মূলত দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ্য করে সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এসব অঞ্চলে প্রবেশ করার কয়েক ঘণ্টা আগে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান ও রকেট হামলা চালায় তারা।

ইসরায়েলের সাবেক বিচারমন্ত্রী ইয়োসি বেলিন তেল আবিব থেকে আলজাজিরাকে বলেছেন, আমি সত্যিই আশা করি আমরা একটি সীমিত স্থল অভিযানের কথা বলছি। আমরা অতীত থেকে জানি এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। এমনকি যদি সরকার এটিকে দ্রুত শেষ করতে এবং মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য আন্তরিকও হয়।

গত দুই সপ্তাহ ধরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা।

গত শুক্রবার বৈরুতে এক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন। তার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও হিজবুল্লাহ। নাসরাল্লাহকে মারার পর আরও আত্মবিশ্বাসী ইসরায়েল এখন লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করলো। এর জেরে দুপক্ষের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল হলো। এতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতি হতে পারে।

গেল সোমবার রাতে লেবাননে স্থল হামলার বিষয়ে অনুমোদন দেয় ইসরাইলের নিরাপত্তা পরিষদ। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও চরমে পৌঁছেছে। কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর স্থল অভিযান শুরু

আপডেট : ০১:৩০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

অবশেষে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলাটি সীমিত ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে চালানো হচ্ছে বলে জানায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

মূলত দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ্য করে সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এসব অঞ্চলে প্রবেশ করার কয়েক ঘণ্টা আগে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান ও রকেট হামলা চালায় তারা।

ইসরায়েলের সাবেক বিচারমন্ত্রী ইয়োসি বেলিন তেল আবিব থেকে আলজাজিরাকে বলেছেন, আমি সত্যিই আশা করি আমরা একটি সীমিত স্থল অভিযানের কথা বলছি। আমরা অতীত থেকে জানি এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। এমনকি যদি সরকার এটিকে দ্রুত শেষ করতে এবং মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য আন্তরিকও হয়।

গত দুই সপ্তাহ ধরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা।

গত শুক্রবার বৈরুতে এক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন। তার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও হিজবুল্লাহ। নাসরাল্লাহকে মারার পর আরও আত্মবিশ্বাসী ইসরায়েল এখন লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করলো। এর জেরে দুপক্ষের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল হলো। এতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতি হতে পারে।

গেল সোমবার রাতে লেবাননে স্থল হামলার বিষয়ে অনুমোদন দেয় ইসরাইলের নিরাপত্তা পরিষদ। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও চরমে পৌঁছেছে। কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।