মহালয়ায় শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু
- আপডেট সময় : ০১:৩০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
ভোরের আলো ভেদ করে ঢাকের আওয়াজে মুখরিত ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গন। ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে আবাহন ঘটেছে দেবী দূর্গার। মন্দিরের উঠোনে দেবীর আগমনী সভায় অপেক্ষায় ভক্তরা। অপেক্ষার পালা ফুরিয়ে মহালয়ার আগমনী বার্তায় জানান দিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আর মাত্র ৬ দিন পরেই শুরু মূল পূজা। দেবীর আগমনী বার্তা উঠে আসে ভক্তদের চোখে মুখে। অবসান পিতৃপক্ষের আর সূচনা দেবীপক্ষের। চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে শুরু হয় মহালয়ার আনুষ্ঠানিকতা।
তর্পন, শঙ্খ, উলুধ্বনি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানালেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা। মহালয়ার পূণ্যলগ্নে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ সারাদেশের মন্দির ও মণ্ডপে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলার প্রাণ প্রকৃতিতে দেবী দুর্গার যে প্রতিরূপ তাই ফুটিয়ে তোলা হয় প্রভাতী আয়োজনে।
আপনালয় থেকে মর্ত্যে আর্বিভূতা হবেন মা। তাই তো সাজ সাজ রব প্রকৃতি জুড়ে। দেবীপক্ষের প্রথম প্রভাতেই চণ্ডীপাঠ, শঙ্খ, উলুধ্বনি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন সহ নানা উপাচারে মর্ত্যে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেবী দুর্গাকে।
মহালয়ার প্রভাতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সেজে উঠে মায়ের বন্দনায়। চন্ডীতে মায়ের রূপের যে বর্ণনা দেয়া আছে তাই ধ্বনিত হয় মন্ত্রে মন্ত্রে।
শাস্ত্রীয় রূপের সাথে মিলিয়ে, বাংলার প্রকৃতিতে দেবী দুর্গা যে চিরভাস্বর, তারই ধারাবর্ণনা উঠে আসে অনুষ্ঠানে।
দুর্গাপূজা যে শুধুই একটি ধর্মীয় উৎসব নয় বরং এ যে ঐক্য, সাম্য ও সম্প্রীতির মহামিলনের আবাহন, তাই মনে করিয়ে দেয় এই আয়োজন।
মহালয়ার পূণ্য তিথিতে নবকিরণের আবেশে সকল বেদনা দূর হবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
মহালয়া উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির প্রাঙ্গণে চলছে ঐতিহ্যবাহী আয়োজন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে তুলে ধরা হয় দেবীর মাহাত্ম্য। মন্ত্র উচ্চারণ, গান আর অভিনয়ে ফুটে উঠে সুর আর অসুরের দ্ব›দ্ব ও মুক্তি।
শাস্ত্রমতে মহালয়ার দিন পরলোকগত পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে তর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানোর সময় পিতৃপক্ষ। যারা পরলোকগত পূর্বপুরুষের মৃত্যু তিথিতে বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে না পারেন, তাঁদের জন্য পিতৃপক্ষের মৃত্যু তিথিতে শ্রদ্ধানুষ্ঠান করার বিধান আছে।
এছাড়া অমাবস্যা তিথি প্রেত কর্মের জন্য শুভ বা প্রশস্ত হওয়ার কারণে পিতৃপক্ষের অমাবস্যা তিথি পরলোকগত পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে জলদানের পক্ষে শুভ। পিতৃপক্ষে পরলোকগত পূর্বপুরুষকে জল দান করলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।