ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এবং সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা থেকে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট কুড অয়েলের দাম ১ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৪০ ডলার হয়েছে।
ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ এবং ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তস সদস্য। ওপেক হচ্ছে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি সংগঠন।
ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
তেলবাহী জাহাজ চলাচলের এই রুটটি ইরান ও ওমানের মধ্য দিয়ে গেছে। এই রুটকে তেল বাণিজ্যের মূল চাবিকাঠি বলা হয়। কারণ এই পথ দিয়ে বিশ্বের ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ হয়। ওপেকভুক্ত দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাকও তাদের বেশিরভাগ তেল রপ্তানি করে এই প্রণালী দিয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। গাজা ও লেবাননে হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি হামাস, হিজবুল্লাহ এবং আইআরজিসি নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে স্বীকার করেছে তেহরান।
হামলার পরপরই ইসরায়েরের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরানের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত আছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বড় ভুল করেছে ইরান। এর চরম মূল্য দিতে হবে।’
এদিকে ইসরায়েলের ভুখণ্ডে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ১০টায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।