ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের বিভিন্ন জেলাতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শুধু রাজধানী ও এর আশপাশেই নয়, ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জেলাতেও। এরইমধ্যে কয়েক জেলায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। মশক নিধন কার্যক্রমে স্থবিরতা ও সচেতনতার অভাবে ডেঙ্গু তীব্র আকার ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

যশোরে এ পর্যন্ত মোট ৪৩৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। যার অর্ধেকেই শনাক্ত হয়েছে গত মাসে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুজন। পরিস্থিতি উত্তরণে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ভর্তি হয়েছে ১৪ জন। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।

রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২২৪ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে দুজন। প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছে নতুন রোগী। আক্রান্তদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। রোগীদের সর্বাত্মক সেবা এখানে নিশ্চিত করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ৫০ বেডের একটি ডেডিকেটেড ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

দোহার উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. জসীমউদ্দিন বলেন, সচেতনতার অভাবে আর হাসপাতালে দেরিতে আসার কারণে ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে এখানে জনসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত কর্মসূচি পালন করছে মেহেরপুর পৌরসভা।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের বিভিন্ন জেলাতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ

আপডেট সময় : ০১:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

শুধু রাজধানী ও এর আশপাশেই নয়, ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জেলাতেও। এরইমধ্যে কয়েক জেলায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। মশক নিধন কার্যক্রমে স্থবিরতা ও সচেতনতার অভাবে ডেঙ্গু তীব্র আকার ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

যশোরে এ পর্যন্ত মোট ৪৩৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। যার অর্ধেকেই শনাক্ত হয়েছে গত মাসে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুজন। পরিস্থিতি উত্তরণে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ভর্তি হয়েছে ১৪ জন। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।

রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২২৪ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে দুজন। প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছে নতুন রোগী। আক্রান্তদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। রোগীদের সর্বাত্মক সেবা এখানে নিশ্চিত করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ৫০ বেডের একটি ডেডিকেটেড ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

দোহার উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. জসীমউদ্দিন বলেন, সচেতনতার অভাবে আর হাসপাতালে দেরিতে আসার কারণে ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে এখানে জনসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত কর্মসূচি পালন করছে মেহেরপুর পৌরসভা।