ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলাকে সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলাকে সমর্থন করবে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরায়েলকে হামলার জবাব দিতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

স্থানীয় সময় বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনা যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এসব কথা জানান বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বাইডেন বলেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলাকে সমর্থন করব ন। ইসরায়েলকে তার আঞ্চলিক চিরশত্রুর বিরুদ্ধে আনুপাতিকভাবে কাজ করতে হবে।

ইরান ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার একদিন পর বাইডেন এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। ইরানের ওই হামলাকে ‘অকার্যকর’ হিসাবে বর্ণনা করেন তিনি। আর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইরানকে এই হামলার মূল্য দিতে হবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলিদের সাথে আলোচনা করব, তারা কী করতে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের সাতটি (জি ৭) দেশ সবাই একমত যে, তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে। তবে তাদের আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।’

বিশ্লেষকেরা বলেছেন, গত এপ্রিলে ইরান যখন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল তার চেয়ে এবারের হামলা নিয়ে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া সম্ভবত তীক্ষ্ণ হবে। তেহরানের পারমাণবিক বা তেল স্থাপনাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আশা করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ এড়াতে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়াকে সংযত করার জন্য আবার চেষ্টা করবে। তবে সেরকম কিছু নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে জবাব দেওয়ার আহ্বান এলো।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দেওয়ায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে তিনি সমর্থন দেবেন কি না, জানতে চাইলে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তরটি না।’

বাইডেন বলেন, ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে শিগগিরই কথা বলবেন। অবশ্যই, ইরান পথ থেকে অনেক দূরে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তারা এখনও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ার লক্ষ্য, সময় এবং উপায় চূড়ান্ত করছে।

একটি সূত্র বলছে, ইরানের আক্রমণকে ব্যর্থ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা নাও চালাতে পারে। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য অপেক্ষা করার সম্ভাবনা নেই। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ বিলম্বিত হলে প্রতিশোধ কার্যকারিতা হারাবে।

ওই সূত্রটি আরও বলছে, ইরানের এপ্রিলের হামলার বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য চাপ দিচ্ছে না। তবে ইসরায়েল এর সম্ভাব্য পরিণতি বুঝতে চায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর সঙ্গে সম্প্রতি লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালানো শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলে মঙ্গলবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলাকে সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলাকে সমর্থন করবে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরায়েলকে হামলার জবাব দিতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

স্থানীয় সময় বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনা যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এসব কথা জানান বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বাইডেন বলেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলাকে সমর্থন করব ন। ইসরায়েলকে তার আঞ্চলিক চিরশত্রুর বিরুদ্ধে আনুপাতিকভাবে কাজ করতে হবে।

ইরান ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার একদিন পর বাইডেন এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। ইরানের ওই হামলাকে ‘অকার্যকর’ হিসাবে বর্ণনা করেন তিনি। আর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইরানকে এই হামলার মূল্য দিতে হবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলিদের সাথে আলোচনা করব, তারা কী করতে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের সাতটি (জি ৭) দেশ সবাই একমত যে, তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে। তবে তাদের আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।’

বিশ্লেষকেরা বলেছেন, গত এপ্রিলে ইরান যখন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল তার চেয়ে এবারের হামলা নিয়ে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া সম্ভবত তীক্ষ্ণ হবে। তেহরানের পারমাণবিক বা তেল স্থাপনাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আশা করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ এড়াতে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়াকে সংযত করার জন্য আবার চেষ্টা করবে। তবে সেরকম কিছু নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে জবাব দেওয়ার আহ্বান এলো।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দেওয়ায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে তিনি সমর্থন দেবেন কি না, জানতে চাইলে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তরটি না।’

বাইডেন বলেন, ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে শিগগিরই কথা বলবেন। অবশ্যই, ইরান পথ থেকে অনেক দূরে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তারা এখনও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ার লক্ষ্য, সময় এবং উপায় চূড়ান্ত করছে।

একটি সূত্র বলছে, ইরানের আক্রমণকে ব্যর্থ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা নাও চালাতে পারে। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য অপেক্ষা করার সম্ভাবনা নেই। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ বিলম্বিত হলে প্রতিশোধ কার্যকারিতা হারাবে।

ওই সূত্রটি আরও বলছে, ইরানের এপ্রিলের হামলার বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য চাপ দিচ্ছে না। তবে ইসরায়েল এর সম্ভাব্য পরিণতি বুঝতে চায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর সঙ্গে সম্প্রতি লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালানো শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলে মঙ্গলবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।