ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডেঙ্গুতে ৯ মাসেই প্রাণ গেল ১৬৩ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। এ বছর নয় মাসেই মৃত্যু হয়েছে ১৬৩ জনের। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই মারা গেছেন ৮০ জন। আর আগস্টের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস নিধন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের দাবি, ডেঙ্গুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ মাসে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৯৩৮ জনের। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই ১৮ হাজারের বেশি। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয় অক্টোবরে। এবারও সে শঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। নয় মাসে ভর্তি হয়েছে ৮ হাজার রোগী। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই ভর্তি হয়েছে তিন হাজার রোগী। পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন হিমশিম অবস্থা। এ হাসপাতালে বেশি রোগী ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, রাজারবাগ ও মিরপুরের।

রোগীদের অভিযোগ, মশা মারতে নিজ এলাকায় কোনো কর্মসূচিই নেই। ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য কেউ আসছে না। এর আগে তো প্রতিদিনই এলাকায় মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো হত। ফলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে।

মুগদা হাসপাতালের মুখপাত্র সত্যজিত কুমার সাহা বলেন, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও ও মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকা থেকে ডেঙ্গুরোগী বেশি আসছে। অধিকাংশই হাসপাতালে আসছে শক সিনড্রোম নিয়ে। দরকার হচ্ছে আইসিইউ। চাপ কমাতে অনেক রোগীকে জরুরি সেবা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকেই আসছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।

সত্যজিত কুমার সাহা আরও বলেন, সিটি করপোরেশন বর্তমানে তাদের কর্মকাণ্ড অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবেও বাড়ছে মশা। মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হত এখন সেগুলোও নেওয়া হচ্ছে না। এতেই বাড়ছে মশা।

আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের অতি বৃষ্টি ডেঙ্গু বাড়ার কারণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এডিস বিরোধী অভিযান না থাকাও বড় সংকট।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মোবাইল কোর্ট না থাকার কারণে সিটি করপোরেশন পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার সুযোগ পায়নি। এখন ধীরে ধীরে সিটি করপোরেশন পূর্ণরুপে কাজে অগ্রসর হচ্ছে। এ ছাড়া বর্ষা শেষ হয়ে শীতের দিন আসছে। এ সময় এমনিতেই মশার উপদ্রব কমে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডেঙ্গুতে ৯ মাসেই প্রাণ গেল ১৬৩ জনের

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। এ বছর নয় মাসেই মৃত্যু হয়েছে ১৬৩ জনের। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই মারা গেছেন ৮০ জন। আর আগস্টের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস নিধন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের দাবি, ডেঙ্গুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ মাসে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৯৩৮ জনের। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই ১৮ হাজারের বেশি। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয় অক্টোবরে। এবারও সে শঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। নয় মাসে ভর্তি হয়েছে ৮ হাজার রোগী। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই ভর্তি হয়েছে তিন হাজার রোগী। পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন হিমশিম অবস্থা। এ হাসপাতালে বেশি রোগী ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, রাজারবাগ ও মিরপুরের।

রোগীদের অভিযোগ, মশা মারতে নিজ এলাকায় কোনো কর্মসূচিই নেই। ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য কেউ আসছে না। এর আগে তো প্রতিদিনই এলাকায় মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো হত। ফলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে।

মুগদা হাসপাতালের মুখপাত্র সত্যজিত কুমার সাহা বলেন, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও ও মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকা থেকে ডেঙ্গুরোগী বেশি আসছে। অধিকাংশই হাসপাতালে আসছে শক সিনড্রোম নিয়ে। দরকার হচ্ছে আইসিইউ। চাপ কমাতে অনেক রোগীকে জরুরি সেবা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকেই আসছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।

সত্যজিত কুমার সাহা আরও বলেন, সিটি করপোরেশন বর্তমানে তাদের কর্মকাণ্ড অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবেও বাড়ছে মশা। মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হত এখন সেগুলোও নেওয়া হচ্ছে না। এতেই বাড়ছে মশা।

আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের অতি বৃষ্টি ডেঙ্গু বাড়ার কারণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এডিস বিরোধী অভিযান না থাকাও বড় সংকট।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মোবাইল কোর্ট না থাকার কারণে সিটি করপোরেশন পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার সুযোগ পায়নি। এখন ধীরে ধীরে সিটি করপোরেশন পূর্ণরুপে কাজে অগ্রসর হচ্ছে। এ ছাড়া বর্ষা শেষ হয়ে শীতের দিন আসছে। এ সময় এমনিতেই মশার উপদ্রব কমে যায়।