শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা ত্যাগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদেরকে কল-কারখানার লাভের একটি অংশ দিতে হবে: নুর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও জনশক্তি রপ্তানিতে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি ‘মালয়েশিয়ার সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চাই’ আটকে পড়া ১৮ হাজার শ্রমিকের বিষয় বিবেচনা করবে মালয়েশিয়া সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে ৭ দিনের রিমান্ড সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি রাজনৈতিক কারণে ইসরাইলের সঙ্গে কঠোর হতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার অধিকার নেই ট্রাম্পের: কামালা হ্যারিস খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দেশের ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা ‘ইরান পুরো শক্তি দিয়ে ইসরাইলকে মোকাবেলা করবে’ শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত জাতিসংঘের মহাসচিব বসুন্ধরার সোবহান পরিবারের হাজার কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচার! পুরানো বন্ধুকে অভ্যুত্থানের গল্প শোনালেন ড. ইউনূস ভারতে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে হাসিনা: এ্যানী সংলাপে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি ‘সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন চলেছে জামায়াতের ওপর’ ঢাকায় পৌঁছেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম

ডেঙ্গুতে ৯ মাসেই প্রাণ গেল ১৬৩ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৯ জন দেখেছেন
আপডেট : শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
ডেঙ্গুতে ৯ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৮০০

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। এ বছর নয় মাসেই মৃত্যু হয়েছে ১৬৩ জনের। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই মারা গেছেন ৮০ জন। আর আগস্টের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস নিধন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের দাবি, ডেঙ্গুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ মাসে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৯৩৮ জনের। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই ১৮ হাজারের বেশি। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয় অক্টোবরে। এবারও সে শঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। নয় মাসে ভর্তি হয়েছে ৮ হাজার রোগী। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই ভর্তি হয়েছে তিন হাজার রোগী। পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন হিমশিম অবস্থা। এ হাসপাতালে বেশি রোগী ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, রাজারবাগ ও মিরপুরের।

রোগীদের অভিযোগ, মশা মারতে নিজ এলাকায় কোনো কর্মসূচিই নেই। ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য কেউ আসছে না। এর আগে তো প্রতিদিনই এলাকায় মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো হত। ফলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে।

মুগদা হাসপাতালের মুখপাত্র সত্যজিত কুমার সাহা বলেন, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও ও মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকা থেকে ডেঙ্গুরোগী বেশি আসছে। অধিকাংশই হাসপাতালে আসছে শক সিনড্রোম নিয়ে। দরকার হচ্ছে আইসিইউ। চাপ কমাতে অনেক রোগীকে জরুরি সেবা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকেই আসছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।

সত্যজিত কুমার সাহা আরও বলেন, সিটি করপোরেশন বর্তমানে তাদের কর্মকাণ্ড অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবেও বাড়ছে মশা। মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হত এখন সেগুলোও নেওয়া হচ্ছে না। এতেই বাড়ছে মশা।

আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের অতি বৃষ্টি ডেঙ্গু বাড়ার কারণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এডিস বিরোধী অভিযান না থাকাও বড় সংকট।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মোবাইল কোর্ট না থাকার কারণে সিটি করপোরেশন পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার সুযোগ পায়নি। এখন ধীরে ধীরে সিটি করপোরেশন পূর্ণরুপে কাজে অগ্রসর হচ্ছে। এ ছাড়া বর্ষা শেষ হয়ে শীতের দিন আসছে। এ সময় এমনিতেই মশার উপদ্রব কমে যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্য সংবাদ