‘সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন চলেছে জামায়াতের ওপর’
- আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
জামায়াতে ইসলামির ওপর সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে জানান দিতে হবে দেশ এবং জাতির স্বার্থে আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই, আমরা আর কাউকে জাতিকে বিভক্ত করার সুযোগ দিবো না।’ আজ (শুক্রবার, ৪ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি মাঠে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দল, ধর্ম ও গোষ্ঠীর ভিত্তিতে আমরা কাউকে আর জাতিকে ভাগ করতে দিবো না। জাতিকে তারাই ভাগ করে যারা জাতির দুশমন।’
তিনি বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসী সরকার আর দেখতে চাই না। প্রিয় বাংলাদেশটাকে এক করতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে এক জায়গায় করতে হবে। যত বিভাজন রেখা তৈরি করা হয়েছিল সবগুলোকে আমরা পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছি।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমাদের দল মানবতার দল, আমরা শহীদদেরকে ভাগ করতে চাই না। প্রতিটা শহীদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরির ব্যবস্থা করে। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে তাদেরকেও যেন সম্মানজনক চাকরি দেয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারও করুণার পাত্র হয়ে না থাকে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো তাদের সঠিক স্বীকৃতিটা যেন দেয়া হয়। পাঠ্যপুস্তকে আগামী দিনের নাগরিকরা যেন জানে তাদেরও আবু সাঈদরা ছিল। বাংলার শহীদরা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন চালানো হয়েছে জামায়াতে ইসলামির ওপর। ১১জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জুলুম করে বিচারিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এই সবকিছুর মাস্টারমাইন্ড, হত্যা বাস্তবায়নকারী, যারা মিথ্যা সাক্ষী ও রায় দিয়েছে তাদের কেউ যেন রেহাই না পায়।’
সম্প্রতি শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামির আমির বলেন, ‘মতলববাজরা মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি করে রাখে। যারা এই সমাজের দুশমন তারাই এই শিল্পকে ধ্বংস করতে চায়।’
শাপলা চত্বরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে আলেম ওলামাদের রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশটাও পাওয়া যায়নি। আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
আগামীতে দেশ গঠনে আপামর জনতার সহযোগিতা চেয়ে জামায়াতের আমির নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে প্রত্যেক শহীদ এবং আহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের খোঁজখবর নেন। এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে দুই লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এর আগে সকাল থেকে জামায়াতের আমিরের আগমন ঘিরে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মিছিল নিয়ে রাজবাড়ি মাঠে উপস্থিত হন।