ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বসুন্ধরার সোবহান পরিবারের হাজার কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচার!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৮৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাজ্যে এক হাজার কোটি টাকা (ব্রিটিশ মুদ্রায় ৬২ মিলিয়ন পাউন্ড) বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছেন স্বৈরাচার হাসিনার ঘনিষ্ঠ দোসর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিয়াত সোবহান ও সাফওয়ান সোবহানসহ পরিবারের অন্যান্যরা। সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, লন্ডনে ২৬টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন বসুন্ধরার মালিকরা। এক হাজার কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচার করে ২৬টি বিলাসবহুল প্রাসাদসম বাড়ি ও সম্পত্তি কিনেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সিফাত সোবহান।

আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদাত সোবহান ও সিফাত সোবহানের সিঙ্গাপুরের গোল্ডেন ওক ভেঞ্চার লিমিটেড এসব অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনাকাটা করেছে। এ ছাড়া আহমেদ আকবর সোবহানের আরেক ছেলে ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফওয়ান সোবহান ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডে রেজিস্ট্রি করা অস্টিনো লিমিটেডের দুবাই অফিসের মাধ্যমেও এসব অর্থপাচার ও সম্পত্তি কেনাকাটা করেছেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ১৯৮০ এর দশক থেকে ‘ভূমিদস্যু’ হিসেবে বাংলাদেশে পরিচিত। নদী ও জলাশয় ভরাট করে দখল, সরকারি খাস জমি এবং দরিদ্র মানুষের জায়গা-জমির দখল নিয়ে আবাসিক প্রকল্প তৈরির নামে লাখ লাখ কোটি টাকা বেহাত করেছে এই বসুন্ধরা গ্রুপ। এই ব্যবসার জন্য বহু হতাহতের ঘটনা ঘটলেও সবই অর্থের বিনিময়ে রাজনৈতিক প্রভাবে ধামাচাপা দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

এ ছাড়া বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ২০২১ সালে কলেজছাত্রী মুনিয়াকে হত্যায় অন্যতম সন্দেহভাজন ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে দায়মুক্তি দিয়েছিল।

বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থপাচার ও ব্রিটেনে ২৬টি বাড়ির কেনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে সেন্ট্রাল লন্ডনের উইকমবি স্কয়ারের পাঁচ হাজার বর্গফুটের বাড়িটি বসুন্ধরার মালিকরা কিনেছেন ১৫৪ কোটি টাকা (১০ মিলিয়ন পাউন্ড) খরচ করে। লন্ডনে তাদের দ্বিতীয় মূল্যবান সম্পদ হলো ওয়েন্টউডের ওয়েলিংটন এভিনিউর বাড়িটি। ২০২১ সালে ১৩০ কোটি টাকা খরচ করে বাড়িটি কিনেছে আনভীর।

তৃতীয় বিলাসবহুল সম্পত্তিটি কেনা হয় সেন্ট্রাল লন্ডনের ওয়াটার ফ্রন্ট ড্রাইভে। এখানে দুটি ফ্ল্যাট কেনা হয়, এর একটির দাম ১০৫ কোটি টাকা, অন্যটি ৯২ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০০৫ সালে লন্ডনের মেলবোর্ন হাউজ ৭৮ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল। এর বাইরে আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের সদস্যদের নামে ১৫ বছরে লন্ডনে আরও ২১টি বাড়ি ও সম্পদ কেনা হয়। যেগুলোর প্রতিটির মূল্য আট থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত। যুক্তরাজ্যে এসব বাড়ি ও সম্পদ কিনতে বসুন্ধরা গ্রুপ দুবাই, সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, লন্ডন ও মালয়েশিয়াসহ আরও কিছু দেশে অর্থপাচার করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বসুন্ধরার সোবহান পরিবারের হাজার কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচার!

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

যুক্তরাজ্যে এক হাজার কোটি টাকা (ব্রিটিশ মুদ্রায় ৬২ মিলিয়ন পাউন্ড) বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছেন স্বৈরাচার হাসিনার ঘনিষ্ঠ দোসর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিয়াত সোবহান ও সাফওয়ান সোবহানসহ পরিবারের অন্যান্যরা। সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, লন্ডনে ২৬টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন বসুন্ধরার মালিকরা। এক হাজার কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচার করে ২৬টি বিলাসবহুল প্রাসাদসম বাড়ি ও সম্পত্তি কিনেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সিফাত সোবহান।

আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদাত সোবহান ও সিফাত সোবহানের সিঙ্গাপুরের গোল্ডেন ওক ভেঞ্চার লিমিটেড এসব অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনাকাটা করেছে। এ ছাড়া আহমেদ আকবর সোবহানের আরেক ছেলে ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফওয়ান সোবহান ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডে রেজিস্ট্রি করা অস্টিনো লিমিটেডের দুবাই অফিসের মাধ্যমেও এসব অর্থপাচার ও সম্পত্তি কেনাকাটা করেছেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ১৯৮০ এর দশক থেকে ‘ভূমিদস্যু’ হিসেবে বাংলাদেশে পরিচিত। নদী ও জলাশয় ভরাট করে দখল, সরকারি খাস জমি এবং দরিদ্র মানুষের জায়গা-জমির দখল নিয়ে আবাসিক প্রকল্প তৈরির নামে লাখ লাখ কোটি টাকা বেহাত করেছে এই বসুন্ধরা গ্রুপ। এই ব্যবসার জন্য বহু হতাহতের ঘটনা ঘটলেও সবই অর্থের বিনিময়ে রাজনৈতিক প্রভাবে ধামাচাপা দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

এ ছাড়া বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ২০২১ সালে কলেজছাত্রী মুনিয়াকে হত্যায় অন্যতম সন্দেহভাজন ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে দায়মুক্তি দিয়েছিল।

বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থপাচার ও ব্রিটেনে ২৬টি বাড়ির কেনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে সেন্ট্রাল লন্ডনের উইকমবি স্কয়ারের পাঁচ হাজার বর্গফুটের বাড়িটি বসুন্ধরার মালিকরা কিনেছেন ১৫৪ কোটি টাকা (১০ মিলিয়ন পাউন্ড) খরচ করে। লন্ডনে তাদের দ্বিতীয় মূল্যবান সম্পদ হলো ওয়েন্টউডের ওয়েলিংটন এভিনিউর বাড়িটি। ২০২১ সালে ১৩০ কোটি টাকা খরচ করে বাড়িটি কিনেছে আনভীর।

তৃতীয় বিলাসবহুল সম্পত্তিটি কেনা হয় সেন্ট্রাল লন্ডনের ওয়াটার ফ্রন্ট ড্রাইভে। এখানে দুটি ফ্ল্যাট কেনা হয়, এর একটির দাম ১০৫ কোটি টাকা, অন্যটি ৯২ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০০৫ সালে লন্ডনের মেলবোর্ন হাউজ ৭৮ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল। এর বাইরে আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের সদস্যদের নামে ১৫ বছরে লন্ডনে আরও ২১টি বাড়ি ও সম্পদ কেনা হয়। যেগুলোর প্রতিটির মূল্য আট থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত। যুক্তরাজ্যে এসব বাড়ি ও সম্পদ কিনতে বসুন্ধরা গ্রুপ দুবাই, সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, লন্ডন ও মালয়েশিয়াসহ আরও কিছু দেশে অর্থপাচার করেছে।