ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে দেশে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ‘ক্ষমতায়ন: জলবায়ুসহিষ্ণু সমাজের জন্য নারী (ফেজ ২)’ প্রকল্পের আয়োজিত ‘অ্যানুয়াল কমিউনিটি অফ প্র্যাক্টিস (কপ) নেটওয়ার্ক কনভেনশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শেরপুর, ফেনী, নোয়াখালীতে বন্যাসহ আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বন্যা, গরম আবহাওয়া নিয়ে সবাই অভিযোগ করি। কিন্তু এগুলো যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সেটা বুঝি না।

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার পাশাপাশি উজান এবং ভাটির দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান সৈয়দা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, অতি বৃষ্টি এবং সতর্ক না করে উজান থেকে পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে বন্যা হচ্ছে। সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনও একটি কারণ। এদিকে অনেক বাঁধ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা না করা গেলে এবং অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে ঝুঁকি আরও বাড়বে।

অনেক উন্নত দেশই ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে পর্যাপ্ত সহায়তা দিচ্ছে না উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, উন্নত বিশ্বই বেশি তেল এবং গ্যাস পোড়ায়। যার কারণে কার্বনের নিঃসরণ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা জলবায়ু পরিবর্তনে ভুক্তভোগী দেশগুলোকে যে পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা তার ধারের কাছেও যায় না। তারা কেবল সম্মেলনে যায় এবং বড় বড় কথা বলে কিন্তু টাকাগুলো সেই পরিমাণে দেওয়া হয় না। তবে সুইডেনসহ কিছু দেশ এর ব্যতিক্রমও রয়েছে।

এছাড়া দেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার সমাধানের জন্য এই সরকার সার্বিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সুইডেন অ্যাম্বাসির হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মিস মারিয়া স্ট্রিডসম্যান, ইউএন উইমেন রিপ্রেজেনটেটিভ বাংলাদেশ গীতাঞ্জলি সিং। এছাড়া অনুষ্ঠানে জলবায়ু অভিযোজনে নিজ-নিজ এলাকায় অবদান রাখার জন্য দেশর বিভিন্ন অঞ্চলের পাঁচজন নারীকে সম্মাননাও জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় : ০৩:০৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে দেশে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ‘ক্ষমতায়ন: জলবায়ুসহিষ্ণু সমাজের জন্য নারী (ফেজ ২)’ প্রকল্পের আয়োজিত ‘অ্যানুয়াল কমিউনিটি অফ প্র্যাক্টিস (কপ) নেটওয়ার্ক কনভেনশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শেরপুর, ফেনী, নোয়াখালীতে বন্যাসহ আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বন্যা, গরম আবহাওয়া নিয়ে সবাই অভিযোগ করি। কিন্তু এগুলো যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সেটা বুঝি না।

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার পাশাপাশি উজান এবং ভাটির দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান সৈয়দা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, অতি বৃষ্টি এবং সতর্ক না করে উজান থেকে পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে বন্যা হচ্ছে। সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনও একটি কারণ। এদিকে অনেক বাঁধ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা না করা গেলে এবং অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে ঝুঁকি আরও বাড়বে।

অনেক উন্নত দেশই ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে পর্যাপ্ত সহায়তা দিচ্ছে না উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, উন্নত বিশ্বই বেশি তেল এবং গ্যাস পোড়ায়। যার কারণে কার্বনের নিঃসরণ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা জলবায়ু পরিবর্তনে ভুক্তভোগী দেশগুলোকে যে পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা তার ধারের কাছেও যায় না। তারা কেবল সম্মেলনে যায় এবং বড় বড় কথা বলে কিন্তু টাকাগুলো সেই পরিমাণে দেওয়া হয় না। তবে সুইডেনসহ কিছু দেশ এর ব্যতিক্রমও রয়েছে।

এছাড়া দেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার সমাধানের জন্য এই সরকার সার্বিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সুইডেন অ্যাম্বাসির হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মিস মারিয়া স্ট্রিডসম্যান, ইউএন উইমেন রিপ্রেজেনটেটিভ বাংলাদেশ গীতাঞ্জলি সিং। এছাড়া অনুষ্ঠানে জলবায়ু অভিযোজনে নিজ-নিজ এলাকায় অবদান রাখার জন্য দেশর বিভিন্ন অঞ্চলের পাঁচজন নারীকে সম্মাননাও জানানো হয়।