এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর
- আপডেট সময় : ১১:৪০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত হবে। ওইদিন সকাল ১১টার দিকে পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে। সোমবার আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে এবার কোনো কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে না। নিজ নিজ বোর্ড অফিস থেকে ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরের মতো এবারও এসএমএস, ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফল জানতে পারবে।
আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং) হবে মাঝপথে বাতিল করা এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি।
একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় যে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও শিক্ষার্থীদের একাংশের দাবির মুখে অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করে সরকার।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় ২২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাবলিক পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর হয়ে আসছিল। বোর্ড চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতেন। সেখানে উপস্থিত থাকতেন শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা সংবাদ সম্মেলন করার পর পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারত। এবার এই প্রক্রিয়ার ব্যাতিক্রম হচ্ছে।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিলে, সেটা অনুমোদন হয়ে এসেছে।