গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামোর বদল ও গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা করাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের রায়। এজন্য রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছাত্র ও সকল স্টেক হোল্ডারের সাথে আলোচনা করতে হবে।
আজ সোমবার ৭ (অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘রংপুরে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে’ এক স্মরণসভায় জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাঁচতে হলে ফ্যাসিবাদ বিলোপ করতে হবে। কেন মাজারে, মন্দিরে ও পাহাড়ে হামলা হচ্ছে? প্রশ্ন রেখে জোনায়েদ সাকি বলেন, পুরোনো ফ্যাসিস্ট শক্তি কী মাথা চাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে নাকি হিংসা বিভাজন তৈরি করে ২৪-এর আন্দোলন ব্যর্থ করতে চাচ্ছে? নাকি পতিত ফ্যাসিস্টের যারা প্রভু তাদের ইঙ্গিতে এসব করা হচ্ছে? যেকোনো মূল্যে ছাত্রদের ঐক্য রক্ষা করতে হবে।
সাকি আরও বলেন, কোনো শহীদ পরিবার ও আহতদের আক্ষেপ যেন না থাকে, তাদের জাতীয় সম্মান দিতে হবে। এ স্মরণ সভায় রংপুরের শহীদ পরিবারের পাঁচজন, আহত একজন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দেন। সভায় শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন দুঃখ-কষ্টের কথা শোনা হয়।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, হিংসা ও বিভাজন বন্ধ করতে হবে। যারা শহীদ আবু সাঈদ কিংবা কোনো শহীদকে কটাক্ষ করবে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না।
রংপুর জেলা গণসংহতির আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজুম মনিরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেরোবির প্রতিনিধি শাহরিয়ার সোহাগ।