ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালাল তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা কোন পথে দিয়ে, কার ইঙ্গিতে দেশ থেকে পালালো তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপতিসহ সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শেখ হাসিনা।

সচিবালয়ে যখন শেখ হাসিনার প্রেতাত্মার বসে থাকে তখন শহীদ সাইদ- মুগ্ধের কথা ভেবে চোখে পানি চলে আসে। শেখ হাসিনার প্রেত্মাতারা এখনো সক্রিয়, ষড়যন্ত্রের গন্ধ আমাদের নাকে আসে। এই ষড়যন্ত্র থেকে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) বের হতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ‘ড. ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ করতে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু এবং মাফিয়া হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত সচিবসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের ক্যাডারদেরকে বহিষ্কারের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং সচিবালয়ে এখনো হাসিনার প্রেতাত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তার দোসররা এখনো কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে এসময় সেটিও জানতে চান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই মাস পার হলেও মানুষের প্রত্যাশা তেমন পূরণ করতে পারেনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইনু মেনন বিপ্লব বড়ুয়াদের ইন্ধনে ১৬ বছর বাংলাদেশের অনৈতিকভাবে ক্ষমতার টিকে ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কাউকে পাত্তা দেয়নি শেখ হাসিনা। বিএনপি নির্বাচন চায় এবং তারা সময়ও দিতে চায়।

জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, ডিবি হারুন ও বিপ্লব কুমার সরকারের অত্যাচারের কথা মনে পড়লে এখনো চোখে পানি চলে আসে। দেশের ছাত্র শ্রমিক জনতা মুক্তিযুদ্ধ করলেও শেখ হাসিনা বলতেন এই দেশ স্বাধীন করেছে আমরা বাবা, এটা আমার বাবার দেশ। তাই আজকে এই অহংকার পতনের হয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালাল তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন

আপডেট সময় : ০৩:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা কোন পথে দিয়ে, কার ইঙ্গিতে দেশ থেকে পালালো তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপতিসহ সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শেখ হাসিনা।

সচিবালয়ে যখন শেখ হাসিনার প্রেতাত্মার বসে থাকে তখন শহীদ সাইদ- মুগ্ধের কথা ভেবে চোখে পানি চলে আসে। শেখ হাসিনার প্রেত্মাতারা এখনো সক্রিয়, ষড়যন্ত্রের গন্ধ আমাদের নাকে আসে। এই ষড়যন্ত্র থেকে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) বের হতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ‘ড. ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ করতে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু এবং মাফিয়া হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত সচিবসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের ক্যাডারদেরকে বহিষ্কারের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং সচিবালয়ে এখনো হাসিনার প্রেতাত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তার দোসররা এখনো কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে এসময় সেটিও জানতে চান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই মাস পার হলেও মানুষের প্রত্যাশা তেমন পূরণ করতে পারেনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইনু মেনন বিপ্লব বড়ুয়াদের ইন্ধনে ১৬ বছর বাংলাদেশের অনৈতিকভাবে ক্ষমতার টিকে ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কাউকে পাত্তা দেয়নি শেখ হাসিনা। বিএনপি নির্বাচন চায় এবং তারা সময়ও দিতে চায়।

জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, ডিবি হারুন ও বিপ্লব কুমার সরকারের অত্যাচারের কথা মনে পড়লে এখনো চোখে পানি চলে আসে। দেশের ছাত্র শ্রমিক জনতা মুক্তিযুদ্ধ করলেও শেখ হাসিনা বলতেন এই দেশ স্বাধীন করেছে আমরা বাবা, এটা আমার বাবার দেশ। তাই আজকে এই অহংকার পতনের হয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।