ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সংকটে থাকা ব্যাংকের আস্থা ফেরাতে তহবিল সদ্ব্যবহারের পরামর্শ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংকটে থাকা কিছু ব্যাংকে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে পেরে কিছু গ্রাহক সন্তুষ্ট থাকলেও কেউ কেউ জানিয়েছেন অসন্তোষের কথা। এছাড়া অনলাইন ও ছোট শাখা থেকে টাকা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতেও ৯০০ কোটি টাকার নগদ প্রবাহ আছে পর্ষদ পুনর্গঠন করা ১১ ব্যাংকের। তবে ব্যাংকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা পাওয়া তহবিলের সদ্ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমনভাবেই গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিতে পারার বিষয়টি বুঝিয়ে বলছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টিতে বেসরকারি ব্যাংক থেকে সহায়তা পাওয়ার পর আগের থেকে গ্রাহকদেরকে টাকা দেয়ার অংক বাড়িয়েছে ব্যাংকটি। কয়েকদিন আগেও যেখানে ৫ হাজার টাকা দিতে দেখা গেছে। এখন তার পরিমাণ ১০ থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত হয়েছে। ফলে চাহিদা পূরণ না হলেও অতি প্রয়োজনীয় টাকা পাওয়ার কথা জানান গ্রাহকরা। সেই সাথে থাকছে প্রতিদিনই টাকা উত্তোলনের সুযোগ। তাই কিছুটা স্বস্তির কথা জানান তারা।

সহায়তা পাওয়া চার ব্যাংকের মধ্যে ন্যাশনাল ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকেও দেখা গেল একই চিত্র। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা গেছে ইসলামী ব্যাংকে। চাহিদা অনুযায়ী নিজ ব্রাঞ্চের গ্রাহককে পুরো টাকাই দিচ্ছে ব্যাংকটি।

তবে অল্প করে প্রতিদিন টাকা তোলার সুযোগ থাকলেও অসন্তুষ্টির কথা জানায় অনেক গ্রাহক। আবার নিজ শাখায় ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ব্রাঞ্চে ঘুরেও টাকা না পাওয়ায় কষ্টের কথা জানান বেশ কিছু গ্রাহকরা।

এই পরিস্থিতিতেও গ্রাহকদেরকে ব্যাংক হিসাব খোলা ও আমানত জমা দিতে দেখা গেছে। নিজেদের প্রয়োজন ও নিরাপত্তায় কারণেই সংকটের মধ্যেও ব্যাংকে আস্থা রাখার কথাও শোনা গেল। তারল্য সহায়তা পেয়ে পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা ভালো হয়েছে বলে জানা এই শাখা ব্যবস্থাপকরা। তবে অবস্থার আরো উন্নতি ও গ্রাহকের পুরানো আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ সময় লাগবে বলে জানান তারা।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন গভর্নর দায়িত্ব গ্রহণ করে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দেয়া বন্ধ করে। এতে এস আলম ও শিকদার পরিবার, সালমান এফ রহমান ও নজরুল ইসলাম মজুমদারদের কারণে ধুঁকতে থাকা আটটি সহ অর্থ সংকটে পড়ে ১১টি ব্যাংক।

পরে এই ব্যাংকগুলোকে দায়িত্ব নিয়ে বেসরকারি ব্যাংক থেকে সহায়তা পাওয়ার ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক । এতে প্রথম ধাপে চারটি ব্যাংককে পাঁচটি ব্যাংক ৯৪৫ কোটি টাকা সহায়তা দেয়। পরে সোনালী ব্যাংক ও আগের পাঁচটি মিলে সেই চারটি ব্যাংককেই ১ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করে।

এই সহায়তার পর তারল্য সংকটে থাকা ১১টি ব্যাংকে এখন নেট পজিটিভ ক্যাশ রয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। অপরদিকে ব্যাংক খাতের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোকে একে অপরের দিকে সহায়তা হাত বাড়িয়ে দেয়ার কথা জানান এই বিশ্লেষক। হারিয়ে যাওয়া সুশাসন নিশ্চিত, আত্মসাৎ হওয়া টাকার সর্বোচ্চ ফিরিয়ে আনা ও দোষীদের দৃষ্টান্ত শাস্তির মাধ্যমে এ খাতের আস্থা ফিরিয়ে আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংকটে থাকা ব্যাংকের আস্থা ফেরাতে তহবিল সদ্ব্যবহারের পরামর্শ

আপডেট সময় : ০১:০২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

সংকটে থাকা কিছু ব্যাংকে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে পেরে কিছু গ্রাহক সন্তুষ্ট থাকলেও কেউ কেউ জানিয়েছেন অসন্তোষের কথা। এছাড়া অনলাইন ও ছোট শাখা থেকে টাকা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতেও ৯০০ কোটি টাকার নগদ প্রবাহ আছে পর্ষদ পুনর্গঠন করা ১১ ব্যাংকের। তবে ব্যাংকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা পাওয়া তহবিলের সদ্ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমনভাবেই গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিতে পারার বিষয়টি বুঝিয়ে বলছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টিতে বেসরকারি ব্যাংক থেকে সহায়তা পাওয়ার পর আগের থেকে গ্রাহকদেরকে টাকা দেয়ার অংক বাড়িয়েছে ব্যাংকটি। কয়েকদিন আগেও যেখানে ৫ হাজার টাকা দিতে দেখা গেছে। এখন তার পরিমাণ ১০ থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত হয়েছে। ফলে চাহিদা পূরণ না হলেও অতি প্রয়োজনীয় টাকা পাওয়ার কথা জানান গ্রাহকরা। সেই সাথে থাকছে প্রতিদিনই টাকা উত্তোলনের সুযোগ। তাই কিছুটা স্বস্তির কথা জানান তারা।

সহায়তা পাওয়া চার ব্যাংকের মধ্যে ন্যাশনাল ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকেও দেখা গেল একই চিত্র। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা গেছে ইসলামী ব্যাংকে। চাহিদা অনুযায়ী নিজ ব্রাঞ্চের গ্রাহককে পুরো টাকাই দিচ্ছে ব্যাংকটি।

তবে অল্প করে প্রতিদিন টাকা তোলার সুযোগ থাকলেও অসন্তুষ্টির কথা জানায় অনেক গ্রাহক। আবার নিজ শাখায় ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ব্রাঞ্চে ঘুরেও টাকা না পাওয়ায় কষ্টের কথা জানান বেশ কিছু গ্রাহকরা।

এই পরিস্থিতিতেও গ্রাহকদেরকে ব্যাংক হিসাব খোলা ও আমানত জমা দিতে দেখা গেছে। নিজেদের প্রয়োজন ও নিরাপত্তায় কারণেই সংকটের মধ্যেও ব্যাংকে আস্থা রাখার কথাও শোনা গেল। তারল্য সহায়তা পেয়ে পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা ভালো হয়েছে বলে জানা এই শাখা ব্যবস্থাপকরা। তবে অবস্থার আরো উন্নতি ও গ্রাহকের পুরানো আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ সময় লাগবে বলে জানান তারা।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন গভর্নর দায়িত্ব গ্রহণ করে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দেয়া বন্ধ করে। এতে এস আলম ও শিকদার পরিবার, সালমান এফ রহমান ও নজরুল ইসলাম মজুমদারদের কারণে ধুঁকতে থাকা আটটি সহ অর্থ সংকটে পড়ে ১১টি ব্যাংক।

পরে এই ব্যাংকগুলোকে দায়িত্ব নিয়ে বেসরকারি ব্যাংক থেকে সহায়তা পাওয়ার ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক । এতে প্রথম ধাপে চারটি ব্যাংককে পাঁচটি ব্যাংক ৯৪৫ কোটি টাকা সহায়তা দেয়। পরে সোনালী ব্যাংক ও আগের পাঁচটি মিলে সেই চারটি ব্যাংককেই ১ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করে।

এই সহায়তার পর তারল্য সংকটে থাকা ১১টি ব্যাংকে এখন নেট পজিটিভ ক্যাশ রয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। অপরদিকে ব্যাংক খাতের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোকে একে অপরের দিকে সহায়তা হাত বাড়িয়ে দেয়ার কথা জানান এই বিশ্লেষক। হারিয়ে যাওয়া সুশাসন নিশ্চিত, আত্মসাৎ হওয়া টাকার সর্বোচ্চ ফিরিয়ে আনা ও দোষীদের দৃষ্টান্ত শাস্তির মাধ্যমে এ খাতের আস্থা ফিরিয়ে আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।