ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:১২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা দেশের মণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মাটির কাজ শেষে এখন রঙতুলির আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমা। চলছে মণ্ডপ সজ্জার কাজও। এদিকে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।

প্রায় সব মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা প্রস্তুত হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও প্রতিমা স্থাপনের কাজ শেষ। মণ্ডপ সাজানোর কাজও চলছে পুরোদমে। দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বোধন আজ মঙ্গলবার। বোধনের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে জাগ্রত করা হবে।

আগামীকাল বুধবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। এবার দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে এবং বিদায় ঘোটক বা ঘোড়ায়।

ঢাকার দোহারের পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে এবার ৪৪টি মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা। নিরাপত্তার নিশ্চিতে তিন দিন আগে থেকেই মন্ডপগুলোতে মোতায়েন আছে আনসার সদস্য। নিয়মিত টহল আছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীরও।

সাধারণ মানুষেরা বলছে, সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে এবারের পূজা সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে সকলেই।

দোহার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিতাভ অপু বলেন, ‘দুর্গাপূজা নিরাপদে উদযাপনের বিষয়ে স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে এতে যে কোনো শঙ্কাকেই উড়িয়ে দিয়ে নিরাপদেই পূজা সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় ৩৬৩টি মণ্ডপে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। নির্ভয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের আহ্বান পুলিশ সুপারের।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, পূজা উদযাপনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বছর বরিশাল মেট্রোপলিটনে ৮৭টি মন্ডপে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে মন্ডপগুলোতে আনসার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছসেবক দল রয়েছে। যারা সর্বদা মন্দির পাহারায় নিয়োজিত থাকবে।

বগুড়াতে ৬৬৩টি মণ্ডপে পূজা হলেও এবার ৬৩০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। শেষ মুহূর্তে রংতুলিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। সিলেটেও কারিগরদের হাতের সুনিপুণ ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমা।

মন্ডপে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা মন্ডপগুলোতে নিয়োজিত থাকবেন। ২৪ ঘণ্টা মোবাইল টিম থাকবে। এ ছাড়া মন্ডপ এলাকাগুলোতে চেকপোস্ট রয়েছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে মোটরসাইকেল টিম।’

পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি প্রায়ই শেষ হয়েছে। সারাদেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মণ্ডপ।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর জানান, বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে, যা আগামী ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে এ বছর ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ১২:১২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা দেশের মণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মাটির কাজ শেষে এখন রঙতুলির আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমা। চলছে মণ্ডপ সজ্জার কাজও। এদিকে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।

প্রায় সব মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা প্রস্তুত হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও প্রতিমা স্থাপনের কাজ শেষ। মণ্ডপ সাজানোর কাজও চলছে পুরোদমে। দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বোধন আজ মঙ্গলবার। বোধনের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে জাগ্রত করা হবে।

আগামীকাল বুধবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। এবার দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে এবং বিদায় ঘোটক বা ঘোড়ায়।

ঢাকার দোহারের পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে এবার ৪৪টি মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা। নিরাপত্তার নিশ্চিতে তিন দিন আগে থেকেই মন্ডপগুলোতে মোতায়েন আছে আনসার সদস্য। নিয়মিত টহল আছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীরও।

সাধারণ মানুষেরা বলছে, সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে এবারের পূজা সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে সকলেই।

দোহার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিতাভ অপু বলেন, ‘দুর্গাপূজা নিরাপদে উদযাপনের বিষয়ে স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে এতে যে কোনো শঙ্কাকেই উড়িয়ে দিয়ে নিরাপদেই পূজা সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় ৩৬৩টি মণ্ডপে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। নির্ভয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের আহ্বান পুলিশ সুপারের।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, পূজা উদযাপনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বছর বরিশাল মেট্রোপলিটনে ৮৭টি মন্ডপে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে মন্ডপগুলোতে আনসার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছসেবক দল রয়েছে। যারা সর্বদা মন্দির পাহারায় নিয়োজিত থাকবে।

বগুড়াতে ৬৬৩টি মণ্ডপে পূজা হলেও এবার ৬৩০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। শেষ মুহূর্তে রংতুলিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। সিলেটেও কারিগরদের হাতের সুনিপুণ ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমা।

মন্ডপে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা মন্ডপগুলোতে নিয়োজিত থাকবেন। ২৪ ঘণ্টা মোবাইল টিম থাকবে। এ ছাড়া মন্ডপ এলাকাগুলোতে চেকপোস্ট রয়েছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে মোটরসাইকেল টিম।’

পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি প্রায়ই শেষ হয়েছে। সারাদেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মণ্ডপ।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর জানান, বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে, যা আগামী ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে এ বছর ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।