ঢাকায় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, ২ নভেম্বর থেকে শুরু
- আপডেট সময় : ১২:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
দেশের ৩৬তম বিদেশি বিমান সংস্থা হিসেবে ঢাকায় ফ্লাইট আনছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। আফ্রিকার সর্ববৃহৎ এই এয়ারলাইন্সটি ২ নভেম্বর থেকে ঢাকা-আদ্দিস আবাবা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল শুরু করবে। অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম এই এয়ারলাইন্সটি ফ্লাইট চলাচল শুরু করলে বাড়বে প্রতিযোগিতা, কমে আসবে টিকিটের দাম।
বাংলাদেশের সাথে আকাশ পথের চুক্তি আছে ৫৮টি দেশের, যার আওতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে ৩৫টি বিদেশি এয়ারলাইন্স। নতুন করে আগ্রহী আরও কমপক্ষে আটটি বিদেশি বিমান সংস্থা।
ভৌগোলিক কারণ, বিপুল প্রবাসী কর্মীর বসবাস ও তৃতীয় টার্মিনাল ঘিরে বাংলাদেশে নজর দিয়েছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় দেশে ফ্লাইট চালাতে আসছে আফ্রিকার এক নম্বর বিমান সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স।
সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের ২ নভেম্বর থেকে সরাসরি ঢাকা-আদ্দিস আবাবা রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু করবে এয়ারলাইন্সটি। শুরুতে এই পথে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট চালাবে তারা। যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করবে বোয়িং সিরিজের অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ ৭৮৭ ড্রিমলাইনার।
এয়ারলাইন্সটি বলছে, শুধু বাংলাদেশ-ইথিওপিয়া নয়। আদ্দিস আবাবায় ট্রানজিট দিয়ে আফ্রিকার অন্যান্য গন্তব্যসহ ইউরোপেও যাত্রী আনা-নেওয়ার পরিকল্পনা তাদের।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের এরিয়া ম্যানেজার উয়োহানাস বেকেলে বলেন, ‘এটা ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটনের জন্য ভালো সুযোগ। আমরা ৫টি মহাদেশের ১৪০টি গন্তব্যে ফ্লাইট চালাচ্ছি। আমরা স্টার এয়ারলাইন্স পরিবারেরও সদস্য। সুতরাং বাংলাদেশিদের জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশে যাওয়ার জন্য এটি ভালো সুযোগ।’
ঢাকায় এরিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা এই কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চান তারা। অপেক্ষায় আছেন তৃতীয় টার্মিনালে ফ্লাইট চলাচলেরও।
উয়োহানাস বেকেলে বলেন, ‘বাংলাদেশের বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ চলছে। নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ হলে আমরা আরও স্লট পাবো। আমাদের এয়ারলাইন্সের জন্য বাংলাদেশে ভালো সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে জনসংখ্যার জন্য বাংলাদেশ একটি ভালো বাজার।’
পৃথিবীর চতুর্থ সেরা এই এয়ারলাইন্সটি ফ্লাইট চলাচল শুরু করলে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনায় অন্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে বাড়বে প্রতিযোগিতা। কমে আসবে টিকিটের দামও।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার (অব.) এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এতদিন ধরে আমাদের কিন্তু আফ্রিকার সাথে সরাসরি কোনো ট্রানজিট ছিল না। আমাদের ভায়া হয়ে অন্য দেশ দিয়ে যেতে হত। এটা একটা ভালো দিক হবে, কারণ এখন অনেক দেশের সাথে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য বেড়েছে। আমি মনে করি এই জায়গাগুলো থেকে ইথিওপিয়ান মার্কেটিং অ্যাসেস করেছে। আমার মনে হয় ভালো একটা স্টেপ এটা।’
তবে বিদেশি এয়ারলাইন্স আসার পাশাপাশি দেশের এয়ারলাইন্সগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারেও জোর দেন এই এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ।
এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশি এয়ারলাইন্স আসুক, আমি না করবো না। তারা আসবে, এর জন্য আমরা রেভিনিউ পাবো। কিন্তু আমাদের দেশের এয়ারলাইন্সের সিট ক্যাপাসিটি বাড়ানোর ব্যবস্থা করছি না কেন? এটাই আমার প্রশ্ন। যেখানে ডিমান্ড আছে, অন্যরা যদি চালাতে পারে, আমরা কেন পারছি না? এটাই বের করে আনতে হবে। এবং আমাদের এয়ারলাইন্স, সেটা সরকারি বা বেসরকারি হোক না কেন, আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে সিট ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে।’
সাড়ে ৭ ঘণ্টার ঢাকা-আদ্দিস রুটে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ৭৫ হাজার টাকা আর ফিরতিসহ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তবে ১৮ নভেম্বরের আগের টিকিট ২০ অক্টোবরের মধ্যে কিনলে পাওয়া যাবে বাই ওয়ান গেট ওয়ান সুবিধা।