ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। লাল বলের ক্রিকেটে পাত্তা না পাওয়া বাংলাদেশ রঙ ছড়াতে পারেনি রঙিন পোশাকেও। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের পাত্তাই দেয়নি সূর্যকুমার যাদবের দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে করে এক ম্যাচ আগে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ভারত।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিতিশ রেড্ডি ও রিঙ্কু সিংয়ের তাণ্ডবে ২২১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। জবাবে মাহমুদউল্লাহর ৪১ রানের কল্যাণে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করতে সম্ভব হয়। এতে করে বাংলাদেশ হারে ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে।

২২২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১৪ রান তোলে বাংলাদেশ। তবে ঐ এক ওভারেই শেষ টাইগারদের দাপট। এরপর আর ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। একের পর এক নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে শতরানের আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর ৪১ রানের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দিল্লীর ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে প্রথম ওভারে ১৫ রান তোলে ভারত। তবে দ্বিতীয় ওভারেই রানের লাগাম টেনে ধরেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ৫ বলে মাত্র ২ রান দিয়ে চাপ তৈরি করে শেষ বলে সাঞ্জু স্যামসনের উইকেট তুলে নেন তিনি। তাসকিনের স্লোয়ার বল মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে নাজমুল শান্তর কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাঞ্জু।

ভারতকে দ্বিতীয় আঘাতটা দেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে মাঠে নামা এই পেসার প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন বিধ্বংসী ব্যাটার অভিষেক শর্মার উইকেট। তানজিমের ১৪৭ কিলোমিটার গতির বল তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড হন অভিষেক।

দলীয় ৪১ রানে অধিনায়ক সূর্যকুমারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান টাইগার পেসার মুস্তাফিজ। এরপর নিতিশ রেড্ডি চতুর্থ উইকেটে রিঙ্কু সিংকে নিয়ে ১০৮ রানের বড় জুটি গড়েন। দলীয় ১৪৯ রানের সময় নিতিশকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মুস্তাফিজ। তার আগে নিতিশ ৩৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। দলীয় ১৮৫ রানে রিঙ্কু সিংকে ফেরান তাসকিন। তার আগে রিঙ্কু ২৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে করেন ৫৩ রান।

শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়া বাংলাদেশ বোলারদের ওপর হামলে পড়েন। তিনি রিশাদের শিকার হওয়ার আগে ১৮ বলে ২ ছক্কা ও সমান চারে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। তখন ভারতের সংগ্রহ ২১৪ রান। শেষ ওভারে রিশাদ ৩ উইকেট তুলে নিলে ভারতকে থামতে হয় ২২১ রানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১১:৪২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। লাল বলের ক্রিকেটে পাত্তা না পাওয়া বাংলাদেশ রঙ ছড়াতে পারেনি রঙিন পোশাকেও। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের পাত্তাই দেয়নি সূর্যকুমার যাদবের দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে করে এক ম্যাচ আগে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ভারত।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিতিশ রেড্ডি ও রিঙ্কু সিংয়ের তাণ্ডবে ২২১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। জবাবে মাহমুদউল্লাহর ৪১ রানের কল্যাণে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করতে সম্ভব হয়। এতে করে বাংলাদেশ হারে ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে।

২২২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১৪ রান তোলে বাংলাদেশ। তবে ঐ এক ওভারেই শেষ টাইগারদের দাপট। এরপর আর ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। একের পর এক নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে শতরানের আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর ৪১ রানের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দিল্লীর ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে প্রথম ওভারে ১৫ রান তোলে ভারত। তবে দ্বিতীয় ওভারেই রানের লাগাম টেনে ধরেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ৫ বলে মাত্র ২ রান দিয়ে চাপ তৈরি করে শেষ বলে সাঞ্জু স্যামসনের উইকেট তুলে নেন তিনি। তাসকিনের স্লোয়ার বল মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে নাজমুল শান্তর কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাঞ্জু।

ভারতকে দ্বিতীয় আঘাতটা দেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে মাঠে নামা এই পেসার প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন বিধ্বংসী ব্যাটার অভিষেক শর্মার উইকেট। তানজিমের ১৪৭ কিলোমিটার গতির বল তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড হন অভিষেক।

দলীয় ৪১ রানে অধিনায়ক সূর্যকুমারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান টাইগার পেসার মুস্তাফিজ। এরপর নিতিশ রেড্ডি চতুর্থ উইকেটে রিঙ্কু সিংকে নিয়ে ১০৮ রানের বড় জুটি গড়েন। দলীয় ১৪৯ রানের সময় নিতিশকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মুস্তাফিজ। তার আগে নিতিশ ৩৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। দলীয় ১৮৫ রানে রিঙ্কু সিংকে ফেরান তাসকিন। তার আগে রিঙ্কু ২৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে করেন ৫৩ রান।

শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়া বাংলাদেশ বোলারদের ওপর হামলে পড়েন। তিনি রিশাদের শিকার হওয়ার আগে ১৮ বলে ২ ছক্কা ও সমান চারে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। তখন ভারতের সংগ্রহ ২১৪ রান। শেষ ওভারে রিশাদ ৩ উইকেট তুলে নিলে ভারতকে থামতে হয় ২২১ রানে।