এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৬ জনে। এ সময় নতুন করে এক হাজার ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৬৩, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬৪, খুলনা বিভাগে ৮০ জন রয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও এক হাজার ৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ সময় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। মৃতদের মধ্যে দুইজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এবং অন্যজন ঢাকা উত্তর সিটির বাসিন্দা।
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৪২৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২০৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩১ জন, বরিশাল বিভাগে ৮৬ জন, খুলনা বিভাগে ৮০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৯ জন, রংপুর বিভাগে সাত জন এবং সিলেট বিভাগে তিন জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১ জানুয়ারি থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৯ হাজার ৮২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, যার মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী। মৃত ১৯৬ জনের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারী এবং ৫০ শতাংশ পুরুষ।
এদিকে, গত এক দিনে সারা দেশে ৯৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১৫১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩৯ হাজার ৮২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে, বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৬ জনের। এছাড়া, গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিল, যার মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গুতে মারা যায়, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বাধিক মৃত্যু।