‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কার পেলেন মিঠুন
- আপডেট সময় : ০১:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার গ্রহণ করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতের চলচ্চিত্রের সবথেকে শ্রেষ্ঠ ও সম্মানের পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রদান করেন কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে ৷
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার নিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়লেন মিঠুন৷ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যদি পারি, তাহলে তোমরা অবশ্যই পারবে ৷’
এদিন অভিনেতার পরনে ছিল, অফ হোয়াইট রঙের পাঞ্জাবি আর সাদা ধুতি ৷ সঙ্গে উত্তরীয়। ‘শো রিল’ দেখানোর সময় আবেগঘন দেখায় তাঁকে। হাতে চোট, সেই কারণেই প্লাস্টার হাতে মঞ্চে উঠতে সহযোগিতা নিতে হয়। পুরস্কার গ্রহণের পর দিলেন স্পিচ। মজার ছলে বলা নানা গল্পে মুগ্ধ হলেন দর্শক। নিজের স্বভাবোচিত ঢঙে মজা করে অভিনেতা বলে চলেন, ‘প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর লোকজনের ভূয়সী প্রশংসা পেয়ে আমার মাথা একটু একটু করে খারাপ হতে শুরু করে। যে বিশাল কিছু করে ফেলেছি আমি।’
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়ে তো নিজেকে আলপাচিনো ভাবছিলাম। আমার অ্যাটিটিউড বদলে গিয়েছিল। তার অঙ্গভঙ্গি দেখে হাসতে থাকেন তার সহকর্মীরাই। তবে তার কর্মজীবনে গায়ের রং যে ‘সমস্যা’ হয়ে দাঁড়ায় সে কথা অকপটে জানান মিঠুন। গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছেন বারবার, জানান অভিনেতা।
তার কথায়, ‘গায়ের রং বদলাতে তো পারব না, কিন্তু আমি তো নাচ করতে পারি। এমন নাচ করব, আমার পায়ের সাহায্যে, যে দর্শক আমার পা দেখবেন, তাদের চোখ আর আমার ত্বক, মুখের দিকে না যায়। আমি একেবারে সেটাই করেছি। কোথাও আমার পা থামতে দিইনি।’
চলতি বছরের গোড়াতেই পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। এবার ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত হলেন ৷ ১৯৭৬ সালে ‘মৃগয়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে তাঁর পথ চলা শুরু হয় মিঠুনের। বাংলা হিন্দিসহ ৬টি ভাষায় তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপারহিট সিনেমা।