বন্যার আগাম তথ্য দিলে ক্ষতি কমিয়ে আনা যেতো: পরিবেশ উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক নদীর সঙ্গে যুক্ত উজানের দেশগুলো বৃষ্টির সঠিক তথ্য না জানানোয় আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের। আকস্মিক বন্যার আগাম তথ্য দিলে ব্যাপক ক্ষতি কমিয়ে আনা যেতো বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘হাইড্রোএসওএসের মাধ্যমে সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কতা’ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
আন্তর্জাতিক বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত কর্মশালায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, চীন, ভারত, ভুটানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা না গেলে উজানে অতি ভারী বৃষ্টির ফলে ভাটির দেশগুলোতে ভয়াবহ বন্যার প্রভাব মোকাবিলা সম্ভব নয়। আর তাই জাতিসংঘের হাইড্রোএসওএস সতর্কতা কর্মসূচিতে সকল রাষ্ট্রেরই অংশগ্রহণ জরুরি।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা সবসময় হুমকির মুখে রয়েছে, তাই একটি কার্যকরী পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি। পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা হচ্ছে দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি শক্তিশালী হাইড্রোলজিক্যাল সিস্টেম ভবিষ্যৎ দুর্যোগের সঠিক পূর্বাভাস দিতে সহায়ক হবে, যার মাধ্যমে জীবন, সম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে উজানের দেশগুলোর রিয়েলটাইম তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি সরকারি সংস্থা, বিজ্ঞানী এবং স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন, যাতে সবার জন্য, বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। এছাড়া স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে একটি সহজপ্রাপ্য এবং কার্যকর পূর্বসতর্কীকরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান এবং ডব্লিউএমও হাইড্রোলজি এবং পানি সম্পদ বিভাগের প্রধান ড. হুইরিন কিম। সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক অংশীদাররা কর্মশালায় অংশ নেন এবং হাইড্রোলজিক্যাল ঝুঁকি মোকাবেলার একটি শক্তিশালী পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগে, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গাজীপুরে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) এর নীতিমালা এবং কার্যক্রমের উপর অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন অনলাইনে যোগ দিয়ে।
উল্লেখ্য, সবধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও প্রকৃতি সুরক্ষায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা-ডব্লিউএমও’র এই হাইড্রোএসওএস কার্যক্রমে বাংলাদেশ অন্যতম অংশীদার।