সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং

- আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
- / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাহিত্যিক হান কাং। মানবমনের ভাঙাগড়া ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন ট্রমা লেখায় কাব্যিকভাবে ফুটিতে তোলার কারণে তাঁকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের স্থানীয় সময় বিকেল ১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে সুইডিশ একাডেমি।
পুরস্কার ঘোষণার সময় ৫৩ বছর বয়সী হান কাংয়ের ব্যাপারে বলা হয়, তিনি মানবদেহ ও মানবমনের মধ্যে দারুণভাবে যোগসূত্র স্থাপণ করতে পেরেছেন। জীবিত ও মৃত মানুষের মধ্যেও একটা যোগসূত্র স্থাপণ করেন তাঁর লেখায়। কাব্যিক ও অভিজ্ঞতালব্ধ লেখার ধরনের মাধ্যমে তিনি সমসাময়িক গদ্যে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এর আগে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজও পেয়েছিলেন হান কাং। ২০০৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ বইয়ের জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
কাংয়ের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ জন নারী সাহিত্যে নোবেল পেলেন। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার কেউ এই খেতাব অর্জন করতে পারেননি।
পুরস্কার ঘোষণার সব তথ্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয় নোবেলপ্রাইজ ওয়েবসাইটে। এ বছরের নোবেল পুরস্কারের সমস্ত ঘোষণা nobelprize.org ও নোবেল পুরস্কার কমিটির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে। ইয়োন ফসের লেখা নাটক ও সাহিত্যের প্রশংসা করে সুইডিশ একাডেমি বলেছে, তিনি তাঁর লেখায় অনুচ্চারিত থেকে যাওয়া বহু কথা তুলে এনেছেন।
১৯০১ সালে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম (১৮৩৯–১৯০৭)।
প্রথা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার হিসেবে গত ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। যৌথভাবে দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকানকে চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঘোষণা করা হয়ে।
মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টনকে যৌথভাবে ২০২৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
বুধবার রসায়নশাস্ত্রে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। এদের একজন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড বেকার এবং বাকি দুজন ব্রিটিশ গবেষক ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার। ডেভিড বেকারকে ‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য’ এবং যৌথভাবে ডেমিস হাসাবিস এবং এম জাম্পারকে ‘প্রোটিন গঠনের পূর্বাভাসের জন্য’ পুরস্কারে মনোনীত করা হয়।
১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। প্রতিবছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্ণপদক, প্রশংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা পান।
আগামীকাল ১১ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। আর ১৪ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে পুরস্কার। এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে পুরস্কার ঘোষণা।